বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রশংসা কুড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শিক্ষার্থীরা জানান, রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তারা। এ সময় উৎসুক জনতার কারণে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় তাদের সঙ্গে যোগ দেন।
ব্যবসায়ীদের ক্ষতি রোধে রোজা রেখেও অনেক শিক্ষার্থী দোকানের মালপত্র সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এ ছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ হলের পুকুর থেকে পানি নেওয়ার সময়ও উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে হলের নিরাপত্তাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা নানাভাবে সহায়তা করে।এ বিষয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী ফজলুর রহমান বলেন, আগুনের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় উৎসুক জনতা ভিড় করায় উদ্ধারকর্মীদের জন্য কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। পরে আমরা তাদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া, যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সেদিকে যেন কেউ না যেতে পারে, সেজন্য খেয়াল রেখেছি। আমাদের সঙ্গে অনেক নারী শিক্ষার্থীও কাজ করেছেন।
অমর একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ ড. ইসতিয়াক এম সৈয়দ বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা সহযোগিতার চেষ্টা করেছি। ব্যবসায়ীরা যাতে নিরাপদে মালপত্র রাখতে পারে, সেজন্য আমরা হলের গেট খুলে দিয়েছি।
এদিকে, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানও শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করেছেন। তিনি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করতে দেখেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক ক্যাম্পাস। যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের ছেলেমেয়েরা মানবতার সেবায় এগিয়ে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যবোধ ও শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত। রজমানের মধ্যে তারা যেভাবে সাহায্য করেছে, এটিই ভালো মানুষের মূল্যবোধ, ভালো মানুষের পরিচয়।