বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলো থেকে এর দূরত্ব কমে আসছে। ইতিমধ্যে আবহাওয়া অফিস থেকে ৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সারা দেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেই সঙ্গে কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। তবে রাতে আবার খানিকটা বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
আবহাওয়ার ৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে—পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৫ দশমিক ৯° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০ দশমিক ১° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি গত মধ্যরাতে গতকাল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে বারবার ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে।
এ দিকে আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সারা দেশের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বলা হয়েছে—রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।