প্রতিবছরের নভেম্বরে একটি করে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের যে ধারাবাহিকতা সেটি থেকে সরে এসেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এখন থেকে বছরের প্রথম দিনে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া এক বছরেই প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পিএসসির নির্ভরযোগ্য সূত্র।
আসন্ন ৪৬তম বিসিএসে বয়সে ছাড় দেওয়া হবে কি না—জানতে চাইলে ওই সূত্র জানায়, বয়সে ছাড় দেওয়া, পদ বৃদ্ধি বা অন্যান্য কিছু সিদ্ধান্ত সরকারের এখতিয়ার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো কিছু বলার থাকলে তা চিঠি দিয়ে পিএসসিকে জানাতে পারে। কিন্তু পিএসসি নিজে থেকে বয়সে ছাড় বা পদ কমানো বা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
পিএসসি সূত্র জানায়, এখন ৪১তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার কার্যক্রম চলছে। এটি শেষ হলে ৪৩ ও ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করবে পিএসসি। এ ছাড়া ১৯ মে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার দিন ধার্য আছে। এসব বিসিএসের পরপরই ৪৬তম বিসিএসের কার্যক্রমে হাত দেবে পিএসসি।
এদিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি বলেছে, ৪৫তম বিসিএসের একসঙ্গে আবেদন করলেই আর পাশাপাশি বসতে পারবেন না প্রার্থীরা। এই বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে পিএসসি। পরীক্ষার হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আসনবিন্যাস দৈবচয়নের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব প্রার্থীর নিবন্ধন নম্বর কক্ষ অনুসারে দৈবচয়নের ভিত্তিতে সাজিয়ে হাজিরা তালিকা তৈরি করা হয়েছে। হাজিরা তালিকায় প্রার্থীর নিবন্ধন নম্বর জোড়-বিজোড় সংখ্যায় ভাগ করে সিট বসানো হয়েছে।
দৈবচয়নের ভিত্তিতে আসনবিন্যাস প্রস্তুত করায় নিজের সিট ও কক্ষ খুঁজে পেতে প্রার্থীদের সময় লাগবে। তাই পরীক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে পরীক্ষার হলে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে পিএসসি।
৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১৯ মে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। দেশের আট বিভাগ ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর এবং ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুলের জন্য মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর করে কাটা যাবে।
৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে। ৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এরপর পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪ ও প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।