নতুন বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, শত প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমরা আগামী ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেবো।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার নাটোরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। সকাল ১০টায় শহরের অনিমা চৌধুরী মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষার উন্নয়ন হয়েছে, গবেষণা খাতের উন্নয়ন হয়েছে। ১২টি বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা চালু করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সুবিধাজনক সময়ে শিক্ষার্থীরা এ ডিপ্লোমায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার সেই স্বপ্ন পূরণ করছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। খুনীরা আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে, এসব অপশক্তি আমাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতিতে কোনো সুযোগ নেই, অপশক্তিকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজেদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শিরিন আক্তার।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাজেদুর রহমান খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের মহান আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে সোনার বাংলা গড়তে আমাদেরও আত্মত্যাগ করতে হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শিরীন আক্তার তার বক্তব্যে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কথা বলেন, লাঞ্চিত হওয়ার কথা বলেন।
নতুন প্রজন্মকে, সব শিক্ষার্থীকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে জানিয়ে নাটোরের সংসদ সদস্য শফিকুল শিমুল অভিযোগ করেন, মাদরাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না। তিনি এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেন, নাটোরে যারা বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান যারা সৃষ্টি করেছে, তারা স্বাধীনতা চায়নি। তিনি দ্রুত নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান।
সংসদ সদস্যসহ বক্তাদের এসব দাবির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে আইনের কাজ সংসদে এগিয়ে যাচ্ছে। আর সব মাদরাসায় জাতীয় সঙ্গীত ও পতাকা উত্তোলন হয় না, এটা ঠিক না। কিছু কিছু মাদরাসা অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত নয়। তবে দেশ ও জাতির প্রতি সন্মান জানানো একজন ধার্মিক মানুষের কর্তব্য।
বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন দেখবেন বলে জানান মন্ত্রী।
বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ধাপে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হয়।