খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের উৎসব বড়দিন ও খ্রিষ্টীয় নববর্ষ বরণের থার্টিফার্স্ট নাইট নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার ডিএমপি সদর দপ্তরে বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের উৎসব বড়দিন ও খ্রিষ্টীয় নববর্ষ বরণের থার্টিফার্স্ট নাইটে বাসাবাড়ির ছাদসহ উন্মুক্ত কোনো স্থানে গানবাজনার আয়োজন করা যাবে না। আতশবাজি ফোটানো যাবে না। এ ছাড়া নিষিদ্ধ থাকবে যেকোনো ধরনের ডিজে পার্টি।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, এ দুটি বড় উৎসবকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিএমপি রাজধানীতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।
সমন্বয় সভায় জানানো হয়, বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে নেওয়া নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে রাজধানীর প্রতিটি গির্জায় পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। সাদাপোশাকেও পুলিশ সদস্য থাকবেন। দর্শনার্থীদের ঢুকতে হবে আর্চওয়ে দিয়ে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে। থাকবে ডগ স্কোয়াড। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স।
সভায় আরও জানানো হয়, প্রতিটি গির্জার এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকবে। আশপাশে কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনো ধরনের ব্যাগ নিয়ে গির্জায় আসা যাবে না।
এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। গাড়ি ঢোকার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার থাকতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢোকার জন্য শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকা ব্যবহার করতে হবে।
সমন্বয় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।