শিক্ষা ক্যাডার সমিতির নির্বাচনবদলি আতঙ্কে ৪৩ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা, তৃতীয় গ্রেডের চিঠিতে তোলপাড়

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

৪৩ জন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলির ফাইল উঠেছে মর্মে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তারা সবাই তিন বছরের বেশি সময় ধরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা ও মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডসহ বিভিন্ন প্রকল্প ও  রাজধানীর কলেজগুলোতে কর্মরত। মার্চ  মাসেই এই তালিকা তৈরি হয়েছিলো। গত বৃহস্পতিবার বদলির ফাইল উঠেছে এমন আলোচনায় অখ্যাত বেসরকারি কলেজ অধ্যক্ষ রতনের  বাড়ীতে ঘনঘন যাতায়াত করে শিক্ষা ক্যাডারের মর্যাদা মাটিয়ে মিশিয়ে দেওয়া ৪৩ জন কর্মকর্তা খুবই আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানা গেছে। বেদরকারি রতন সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে গত পাঁচ বছর তারা শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে থেকে বদলি বাণিজ্য, পাঠ্যবইয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল করাসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ৯ জুন (রোববার) সকাল সকাল বদলির আদেশ জারি হচ্ছে এমন খবর শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের অনেকের মুখে মুখে। ফাইল অনুমোদনের যাবতীয় কাজ সমাধান করে গতকাল শনিবার সকাল সকাল জার্মান ও ইতালির উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কয়েকজন। আগামী শনিবার তার দেশে ফিরবেন। এমন কথাও বলাবলি হচ্ছে।  

এদিকে রোববার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত নির্বাচনে পাঁচটি কলেজের ভোটের ফল জালিয়াতি করে নির্বাচনে একটি প্যানেল বিশেষ সুবিধা পেয়েছিলো। এবার সেই পাঁচটি কলেজের ভোট কেন্দ্র বদল করা হয়েছে। আরো দুটি নতুন কেন্দ্র করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন গ প্যানেলের কেউ কেউ। এমন খবরের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশন সাইফউদ্দিন চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘পাঁচটি কলেজের কেন্দ্র বদল করা হয়েছে। এতে কোন প্যানেলে কার মন খারাপ হয়েছে সেটা কমিশন জানে না। কমিশন শতভাগ নিরপেক্ষ।’    

এদিকে তৃতীয় গ্রেড সংক্রান্ত একটি চিঠি নিয়ে তোলপাড় চলছে ক্যাডারের বিভিন্ন গ্রুপে। কেউ কেউ মন্তব্য করছেন ‘শর্প হইয়া দংশন করো ওঝা হইয়া ঝাড়ো’ । মূলত সদ্য অপসারিত মাউশির একজন পরিচালককে ইঙ্গিত করেই এমন সমালোচনা চলছে। চিঠির কপি দেখুন। 

এদিকে  শিক্ষা ক্যাডার সমিতির অফিস রাজধানীর মেহেরবা প্লাজায়। একই প্লাজায় অবস্থিত একটি আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার অফিসের সামনে দেখা গেছে শিক্ষা ক্যাডারের কয়েকজন সদস্যকে। আন্ডারগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত ওই পত্রিকার মালিক-সম্পাদকের গ্রামের বাড়ী যশোরের মনিরামপুরে। তিনি বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে পরিচিত। তার পত্রিকার একজন বিজ্ঞাপন ম্যানেজার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা ভবনে এমপিও এবং বদলির দালাল হিসেবে পরিচিত।  ডাক সাংবাদিক পরিচয়ে সময়ে সময়ে বিদেশেও ঘুরতে দেখা যায় তাকে। তার বিদেশে সফরের অর্থ যোগানদাতাতের মধ্যে রতন ও বাড়ৈ সিন্ডিকেটের সদস্যরা আছেন--এমনটাই বিশ্বাস করেন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের অনেকেই। একটি প্যানেলের পক্ষে নানা অপতৎপরতা চালাতে দেখা যায় তাকে। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025780200958252