ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় চট্টগ্রাম বিভাগের তিন জেলায় অন্তত ৫৭৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানি কমে গেলেও এখনও পর্যন্ত অনেক স্কুলের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।
জেলার সাতকানিয়া উপজেলার প্রায় ৮৮ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে প্রায় ১০-১২ দিন ধরে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাতকানিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ মোট ২৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৩৪টিতে কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। পানি নেমে গেলেও বেশিরভাগ স্কুলের ভবন এখনও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার উপযোগী নয়। ক্লাস শুরু হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তারা।
বন্যায় কক্সবাজারে ২৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সবগুলোতেই ইতোমধ্যে ক্লাস শুরু হয়েছে। চকরিয়া উপজেলার এইচএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, কোমরসমান পানির কারণে আমরা স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এক সপ্তাহ পর গত শনিবার আমরা আবার স্কুল খুলেছি। স্কুলের অধিকাংশ আসবাবপত্র পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে রাঙামাটিতে ৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন, আসবাব ও অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এখনও পর্যন্ত ক্লাস শুরু করা যায়নি।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, 'স্কুল চত্বর থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। কিন্তু ভবনে গর্ত ও কাঁদা রয়ে যাওয়ায় এসব স্কুলে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে সবগুলো স্কুলে আবার অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার। অনেক শিক্ষার্থীর বইও বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।