বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ও সরকারি বিএম (ব্রজমোহন) কলেজের শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই পক্ষের আহত ৭৩ শিক্ষার্থীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া পথচারী, সংবাদকর্মী ও যানবাহন চালকসহ আরো ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত সোমবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় হস্তক্ষেপ করে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঔ ঘটনায় সেদিন কলেজটির একাধিক শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থী।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থীকে আটক করে নগরীর বটতলা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায় বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা হলেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের রাফিন কায়সার এবং মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ইমন খান।
এ খবর পেয়ে আটককৃতদের ছাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েকশো শিক্ষার্থী সেখানে গেলে প্রথম দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। পরবর্তীতে নগরীর নতুনবাজার, নথুল্লাবাদ, আমীর কুটির সহ কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের অনেকে হতাহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নগরীজুড়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, বুধবার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত প্রায় শতাধিক আহত ব্যাক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের মধ্যে অনেকের আঘাত গুরুতর। সকলকে হাসপাতালের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের চেষ্টা করছি আমরা।