উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ক্লাস -পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন। এদিকে অতর্কিত হামলা এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের আয়োজন করেছে সরকারি বিএম (ব্রজমোহন) কলেজ কর্তৃপক্ষ। বুধবার মধ্যরাত থেকে ভোর অবধি এই দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
সংঘাতে সাংবাদিক, যানবাহন চালকসহ দুই পক্ষের শতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে বুধবার বিকেলে নথুল্লাবাদ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় নগরীর শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবাইকে সহনশীলতা বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই, তারা যেনো শান্ত এবং সচেতন থাকেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সহযোগিতা করেন।
অন্যদিকে বিএম কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আমিনুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বুধবার রাতের ঘটনায় আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরিবহন পুলের একটি যানবাহনও হামলাকারীরা অক্ষত রাখেনি। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কলেজ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করা হবে।
বিকেলে সভা শেষে বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী বলেন, বুধবার রাতের ঘটনায় দুই প্রতিষ্ঠানই নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকে আহত হয়েছেন। এই সংঘাত সামনের দিকে টেনে নেবার কোনো মানে নেই। সবাই সহনশীল আচরণ করলে অচিরেই নগরীর শান্তি-শৃঙ্খলার উন্নতি হবে।