বরগুনা জেলার ২৯টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনের বেসরকারি ফলে ১৯টিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। অন্য ১০টিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। গতকাল সোমবার (২১ জুন) ভোটগ্রহণ শেষে রাতে ফল ঘোষণা করেন বিভিন্ন উপজেলার নির্বাচনী কর্মকর্তারা।
বরগুনা সদর উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩ টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং ৬ টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ীরা হলেন, বদরখালী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মতিয়ার রহমান রাজা, গৌরীচন্নায় স্বতন্ত্র প্রার্থী তানভীর সিদ্দিকি, ফুলঝুরিতে নৌকার গোলাম কবীর, কেওরাবুনিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান নসা, আয়লাপাতাকাটায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসাররফ হোসেন, বুড়িরচরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন কবীর, ঢলুয়ায় আওয়ামী লীগের আজিজুল হক স্বপন, বরগুনা সদরে নৌকার আবদুল কুদ্দুস আলো আকন এবং নলটোনায় কে এম শফিকুজ্জামান মাহফুজ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
বেতাগী উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নেই জয় পেয়েছেন নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। তারা হলেন বিবিচিনি ইউনিয়নের নওয়াব হোসেন নয়ন, বেতাগী সদর ইউনিয়নের মো. হুমায়ুন কবির খলিফা, হোসনাবাদ ইউনিয়নের খলিলুর রহমান খান, মোকামিয়া ইউনিয়নে গাজী জালাল আহম্মেদ, কাজিরাবাদ ইউনিয়নে মোশারেফ হোসেন, বুড়ামজুমদার ইউনিয়নে আবদুর রব শুক্কুর ও সড়িষামুড়ি ইউনিয়নে ইমাম হোসেনে শিপন।
পাথরঘাটায়ও ৩ টি ইউনিয়নের সব কয়টিতে জয় পেয়েছেন নৌকা প্রার্থী। তারা হলেন কালমেঘা ইউনিয়নে গোলাম নাসির, কাঠালতলীতে শহিদুল ইসলাম ও কাকচিড়ায় আলাউদ্দীন পল্টু।
আমতলী উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের ৪ টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত এবং ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের চার চেয়ারম্যান হলেন গুলিশাখালী ইউনিয়নের মনিরুল ইসলাম মনি, কুকুয়ার বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার, চাওড়ার আখতারুজ্জামান বাদল খান এবং আড়পাঙ্গাশিয়ার নারী প্রার্থী মোছা. সোহেলী পারভীন মালা। জয় পাওয়া দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়ার রফিকুল ইসলাম রিপন ও হলদিয়া ইউনিয়নের আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক।
বামনার ৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চৌধুরী কামরুজ্জামান সগির, রামনা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নজরুল ইসলাম জমাদ্দার, ডৌয়াতলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান ও বুকাবুনিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান সবুজ।
বেশ কিছু ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিতে বাধ্য করা, এজেন্টদের বের করে দেয়া ও জাল ভোটের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বরগুনা সদরের বদরখালী ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের গুলিতে একজন আহত হন। এর বাইরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সবার সহযোগিতায় একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে সমর্থ হয়েছি।