বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে চলছে ভোট গণনা। এখন পর্যন্ত বরিশাল ও খুলনা দুই সিটিতে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। নিকটতম অবস্থানে আছেন ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার প্রার্থীরা।
বরিশালে ১২৬ কেন্দ্রের ৬৬টির ফল প্রকাশ হয়েছে। এর মধ্যে নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ৫৩ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইসলামী আন্দোলনের মুফতি ফয়জুল করিম ১৬ হাজার ৬৬২ ভোট পেয়েছেন। আর খুলনা সিটিতে ২৮৯ কেন্দ্রের ৫০টির ফল প্রকাশ হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে তালুকদার আব্দুল খালেক ২২ হাজার ৪৩ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার প্রার্থী মো. আব্দুল আউয়াল ৫ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন।
এর আগে সকাল থেকে দুই সিটিতে মোটামুটি সুষ্ঠুভাবে ভোট চললেও বরিশালে দুপুরের দিকে নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এতে তিনিসহ দলের বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কয়েক ’শ নেতা-কর্মী শহরের দুটি স্থানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। দলটি হামলা-মারধর-হয়রানি, পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়া, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া, ভোটারদের বাধা দেয়া, জোরপূর্বক ভোট দেয়ারও অভিযোগ করে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, বরিশালের পরিবেশ দেখলাম খুব ভালো ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে এটা আকস্মিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এটা কাঙ্ক্ষিত ছিল না। প্রথমে দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও পরে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যে অন্যায় করেছে তাকে শাস্তি পেতেই হবে।