বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীনকে আদালত প্রাঙ্গণে মারধর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল নগরীর আদালত প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, বরিশাল ৫ আসনের সাবেক এমপি ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিমকে রোববার ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতার হওয়া পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিমকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করার খবরে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয় আওয়ামী লীগের সদস্যরা।
তখন বিক্ষুব্ধ জনতা কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীন ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা শাহরিয়ার সচিব রাজিব ওরফে পন্ডিত রাজিবকে বেধড়ক মারধর করে। মারধরের শিকার হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় কাউন্সিল জয়নাল ও রাজিব।
একাধিক স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে জয়নালের আছে সন্ত্রাসী বাহিনী। যারা বছরের পর বছর কেডিসি এলাকায় মাদকের বিষ ছড়াচ্ছে। তাছাড়া ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কেউ কোনো স্থাপনা কিংবা ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে জয়নাল বাহিনীকে চাঁদার টাকা না দিলে হামলা ভাঙচুর চালায় তার বাহিনী।
কয়েক দিন আগেও কাউন্সিলর জয়নাল ও তার বাহিনী বিভাগীয় ট্যাংকলরি সমিতির কোষাধ্যক্ষকে চাঁদা না দেয়ায় মারধর করে। এই মারধরের প্রতিবাদে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন শ্রমিকরা। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় আনবে জানালে শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত জনতার মধ্যে কিছুটা উত্তেজনার খবর পেয়েছি। সেখানে স্বাভাবিক পরিস্থিতি রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।