প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২৫৮ জন বর্ষসেরা ও প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে। দুই বছর স্থগিত থাকার পর প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের মাধ্যমে বর্ষসেরা শিক্ষক, ছাত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাঠ কর্মকর্তা, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি (এসএমসি) ও জনপ্রতিনিধিদের এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। গতকাল রবিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর শিক্ষা সপ্তাহ বন্ধ ছিল। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দীক্ষা’। এর মাধ্যমে দুই বছরের দেশসেরাদের হাতে পদক তুলে দেয়া হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের নানামুখী কর্মগ্রহণের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৯৮ শতাংশে পৌঁছেছে। মেয়েদের ভর্তির হার বেড়েছে, ঝরে পড়া আগের চেয়ে কমে গেছে। শিক্ষকদের বদলির দুশ্চিন্তা কমেছে। প্রাক-প্রাথমিক স্তর এক বছরের পরিবর্তে দুই বছর করে সেখানে আনন্দের সঙ্গে লেখাপড়া করার সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মিড ডে মিলের মাধ্যমে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম আবারো শুরু করা হবে। এটি হবে পাঠ্যবইয়ের মতো প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি উপহার। এখনো যেসব স্থানে শিক্ষক শূন্য রয়েছে সেসব স্থানে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দেশব্যাপী ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, শিক্ষা মেলাসহ নানা কর্মসূচি হাতে নেয়। অনুষ্ঠানে ২০১৯ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ২১ জন এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৯০ শিশুসহ ১১১ জন এবং ২০২২ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ২১ জন এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৮৪ শিশুসহ ১০৫ জন।
এছাড়াও ২০২২ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ৪২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সনদ দেয়া হয়। ২০১৩ এর পদক নীতিমালা অনুযায়ী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিশুরা যথাক্রমে ২০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার টাকা ও ১০ হাজার টাকাসহ একটি সনদ ও ক্রেস্ট পায়। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের ২৫ হাজার টাকা, সনদ ও ক্রেস্ট দেয়া হয়েছে।
সভাপতির বক্তৃতায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, সরকার সা¤প্রতিক সময়ে শিক্ষক নিয়োগ, অনলাইনে বদলি, শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে ০২ বছরে উন্নীতকরণ, নতুন পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, প্রাথমিক বৃত্তি প্রদানসহ প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধিকল্পে একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে।