বাংলা সাহিত্যে অস্তিত্ববাদ

মাজহার মান্নান |

শোষণ-নিপীড়ন যুগ যুগ ধরে চলমান একটি প্রক্রিয়া। তবে কালের আবর্তে পরিবেশ পরিস্থিতিতে এটার মাত্রা কম-বেশি হয়ে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কাজটি মোটেও সহজ কোনো কাজ নয়। তবে সেটা যতো কঠিনই হোক অসম্ভব নয়। লেখক, সাহিত্যিক, দার্শনিক, মুক্তচিন্তাবিদেরা হাত গুটিয়ে বসে থাকেন না। তাদের কলমি শক্তি শোষণ-নিপীড়নকে যুগ যুগ ধরে চ্যালেঞ্জ করে আসছে। অস্তিত্ববাদ ঠিক তেমনই একটি ধারা যেটি ছিলো মুক্তচিন্তাবিদদের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দেলন। বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন শুধু যে পাশ্চাত্যে হয়েছে তা নয়, আমাদের এখানেও হয়েছে। কাজী আব্দুল ওদুদ আমাদের এখানে বুদ্ধি মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য দারুণ একটি স্লোগান তিনি লিখেছিলেন, ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’। কলমি আন্দোলনকে চাঙা রাখতে একটি মোটিভেশন চরণ প্রয়োজন হয়। ফরাসী বিপ্লবের নেপথ্যে জ্যাক রুশোর বিখ্যাত সেই চরণ ‘মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন, কিন্তু সর্বত্র সে পরাধীন’ দারুণ ভূমিকা রেখেছিলো।

মার্টিন লুথার কিং মুক্তিকামী মানুষের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার একটি স্বপ্ন আছে’। তার এই স্লোগান দারুণ সাড়া ফেলেছিলো। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মূল পয়েন্ট ছিলো-এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। বুদ্ধিবৃত্তিক সকল আন্দোলনের নেপথ্যেই কালজয়ী স্লোগান ভূমিকা রেখেছে। অস্তিত্ববাদও ছিলো এমন একটি বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন। 

অস্তিত্ববাদের যাত্রা শুরু হয় জার্মান দার্শনিক সোরেন কিয়ের্ক গার্দের হাতে। পরবর্তীকালে হাইডেগার, জ্যাঁ পল সার্তে,  নিটসের হাত ধরে সেটা একটি বহুমাত্রিক আন্দোলনে রূপ নেয়।  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মানুষের জীবন এক ভয়াবহ বিপর্যয়ে পরিণত হয়। অতিমাত্রায় অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যায় মানুষের জীবন। চরম শূন্যতা ভর করতে থাকে মানবসত্তায়। বিশ্বযুদ্ধের দামামায় সব যখন লণ্ডভণ্ড অবস্থা, তখন অস্তিত্ববাদ আশার সঞ্চার করেছিলো মানব মনে। কেনোনা অস্তিত্ববাদ মানুষের ইচ্ছার স্বাধীনতাকে ঘোষণা করেছিলো। জ্যাঁ পল সার্তে তার ‘বিং অ্যান্ড নাথিংনেস’ গ্রন্থে  স্পষ্টভাবে বললেন, মানুষ অপূর্ণ, আর মানুষ তার পূর্ণতার জন্য ছুটে চলে। আর এই পূর্ণতা প্রাপ্তির জন্য মানুষের স্বাধীনতা অপরিহার্য। অস্তিত্ববাদীরা ব্যক্তি স্বাধীনতার জয়গান গেয়েছেন। তারা মনে করেন উপদেশ কোনো উপকারে আসে না। উপদেশের খপ্পরে পড়ে ব্যক্তি স্বকীয়তা ও অস্তিত্ব হারায়। তারা মনে করেন অস্তিত্ব থেকে চিন্তা ও স্বাধীনতার জন্ম। আধুনিক দর্শনের জনক ডেকার্ট বলেন, ‘আমি চিন্তা করি, তাই আমি আছি’। ডেকার্টের মতোই সিগমন্ড ফ্রয়েড ‘Stream of Consciousness’ এর কথা বললেন। মানুষ তার অবচেতন সত্তায় ইচ্ছার বাস্তবায়ন ঘটাতে চায়। ইচ্ছার স্বাধীনতা, স্বাধীন চিন্তাশক্তি ও দায়িত্ববোধ অস্তিত্ববাদের প্রাণ। অস্তিত্ববাদীরা মনে করেন যে, মানুষের পরিণতি পূর্বনির্ধারিত নয়। অপূর্ণ মানুষ তার স্বাধীন কর্ম দিয়ে নিজেকে পূর্ণ করে। 

বাংলা সাহিত্যে অস্তিত্ববাদ এক নতুন মাত্রা ধারণ করেছে। কেনোনা বাঙালিরা সীমাহীন শোষণ ও নির্যাতনের শিকার ছিলো। তাই তাদের নিকট অস্তিত্ববাদের আগমন নিশ্চয়ই আবেদনময়ী। বাংলা ভাষার ধ্রুপদী লেখকদের লেখনীতে অস্তিত্ববাদ ব্যাপকভাবে স্থান পেয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী রচিত বাংলা সাহিত্য, কাব্য, নাটক ও উপন্যাসে অস্তিত্ববাদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। আমি আগেই বলেছি যে অস্তিত্ববাদ কোনো নির্দেশনা নয়, এটি একটি কলমি ও বৌদ্ধিক আন্দোলন। যে আন্দোলন কোনো রাজপথে ঘটে না, যে আন্দোলনে কোনো রক্তপাত হয় না। এটি একটি নীরব সাইকোলজিক্যাল আন্দোলন যেটি মানব মনে লুকিয়ে থাকা সত্তাকে জাগ্রত করে। 

কাজী নজরুলের বেশির ভাগ লেখনী শোষণের বিরুদ্ধে কলমি আন্দোলন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার কথাই বলা যাক। এর চেয়ে বড় কলমি প্রতিবাদ বিশ্ব সাহিত্যে ঘটেনি। যে কবিতার প্রতিটি চরণে ব্যক্তি স্বাতন্ত্রের জয়গান করা হয়েছে। কবি তার স্বীয় মনের প্রতিবাদকে সর্বজনীন রূপ দিতে পেরেছেন। কবির মনের প্রতিবাদকে গণ-মনের প্রতিবাদে রূপান্তর ঘটিয়েছেন। কবিতার প্রতিটি শব্দই যেনো এক একটি প্রতিবাদী বোমা। বিদ্রেহী কবিতায় কবি ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যক্তি মনের মুক্তির কথা কাব্যিক ছন্দে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই কবিতায় ব্যক্তি স্বাধীনতার গল্প এতোটাই প্রকট যে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর রাতের ঘুম হারাম হয়েছিলো।

অস্তিত্ববাদের বড় প্রভাব দেখা যায় নজরুলের আনন্দময়ীর আগমনে কাব্যে। এখানে ব্যক্তির অবচেতন মনে ঘুমিয়ে থাকা স্বাধীনতাকে জাগিয়ে তুলেছে এবং ঘোষণা করেছে ব্যক্তির অস্তিত্ব আগে। তার স্বাধীনতা আগে তারপর অন্য কিছু। অস্তিত্ববাদ মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গড়ে ওঠা একটি দার্শনিক তত্ব ও বৌদ্ধিক আন্দোলন। কিন্তু এর অনেক পূর্বেই ব্যক্তি স্বাধীনতার জয়গান গেয়েছেন কবি রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়। 

কল্লোল, কালি ও কলম, প্রগতি, পরিচয় প্রভৃতি পত্রিকাকে কেন্দ্র করে একদল লেখক যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ভয়াবহ অস্তিত্ব সংকটের ছবি তারা কাব্য শরীরে লেপন করার তাগিদ অনুভব করেছেন। তবে এসব লেখকেরা যে ধরনের অস্তিত্ববাদ বিশ্বাস করতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন সেটার ব্যতিক্রম। তিনি মূলত জ্যাঁ পল সার্তের অস্তিত্ববাদকে অনুসরণ করে বাংলা সাহিত্যে সেটাকে নান্দনিক অস্তিত্ববাদ হিসেবে রূপ দেন। অস্তিত্ববাদীরা মনে করেন মানুষ শোষণের শিকার হয়ে এক ধরনের শূন্যতা ও ভীতি অনুভব করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই শূন্যতাবোধকে ব্যাপক গুরুত্ব দিতেন। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকা আর অস্তিত্বশীল হওয়াকে এক করে দেখেননি। যারা আত্ম অতিক্রমের চেষ্টা করে না তারা প্রতীকী অর্থে বেঁচে থাকলেও অস্তিত্বশীল নয়। তিনি মানুষের অসীম সম্ভাবনার কথা বলেছেন যে সম্ভাবনার কথা অস্তিত্ববাদী দার্শনিক জ্যাঁ পল সার্তে বলেছিলেন। জ্যাঁ পল সার্তের মতোই রবী ঠাকুর বলেন, অপূর্ণ মানুষ নিজেকে পূর্ণতার দিকে নিতে চায়। এই শক্তি বিধাতা মানুষকে দিয়েছেন। তিনি এই শক্তি বা ক্ষমতাকে আলো হিসেবে অভিহিত করেছেন। ‘আলো আমার,  আলো ওগো,  আলোয় ভুবন ভরা’। বিশ্বকবি মনে করেন, মানুষ নিজেকে শ্রেষ্ঠ সত্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনন্তকাল ধরে চেষ্টা চালিয়ে থাকে। 

বাংলা সাহিত্যে অস্তিত্ববাদ যে কতোটা প্রকট তা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ উপন্যাসের দিকে তাকালে বোঝা যায়। তার মতে মানুষের নিয়তি ঈশ্বর বা সমাজ কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত নয়। মানুষ স্বাধীন এবং দায়িত্ববোধ সম্পন্ন। তিনি আরেফ আলীর চরিত্রটিকে অস্তিত্ববাদের আদলে দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। মুখোশধারী সমাজের বাসিন্দা ও পরান্নভোগী হওয়া সত্বেও স্বাধীন ইচ্ছার পথেই পা বাড়িয়েছেন। নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকেছেন। লালসালুর মজিদের চরিত্র যেনো অস্তিত্ববাদের এক মূর্ত দৃষ্টান্ত। জীবনের দ্বন্দ্ব, সংঘাত, প্রেম ভালোবাসার মাঝেও নিজের স্বাধীন সত্তা টিকিয়ে রাখার নামই অস্তিত্ব। প্যাসক্যাল তাইতো বলেই দিলেন, মানুষ দুনিয়া জয়ের পরিবর্তে নিজেকেই জয় করে। চরিত্রায়নের জাদুকর মানিক বন্দোপাধ্যায়ের বিভিন্ন সৃষ্টি কর্মে অস্তিত্ববাদ লক্ষ্য করা যায়। পদ্মার কুবের হাজার সমস্যার মাঝেও নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মরিয়া। তার সৃষ্ট ভিখু চরিত্রটি প্রবলভাবে সংগ্রামশীল ও অস্তিত্ববাদী। মূর্ত এই জগতে টিকে থাকা, চেতন-অচেতন সব বস্তুর সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে সংযুক্ত থাকা, সংবদ্ধ থাকার নামই অস্তিত্ব। তিনি তার প্রাগৈতিহাসিক গল্পে এই চরিত্রটিকে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যেনো তা অস্তিত্ববাদকেই প্রতিফলিত করে। জীবনে টিকে থাকতে হলে সংগ্রাম অনিবার্য। আর এই সংগ্রাম মানুষ করে ইচ্ছাশক্তির দ্বারা তাড়িত হয়ে। 

অস্তিত্ববাদী দার্শনিক কামুর দ্য প্লেগ আর মানিক বন্দোপাধ্যায়ের পুতুল নাচের ইতিকথার মাঝে দারুণ মিল রয়েছে। দুটোই অস্তিত্ববাদকে প্রতিনিধিত্ব করে। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে চরম অস্তিত্বের সংকট চলাকালে কামু তার দ্য প্লেগ রচনা করেন। মানিক বন্দোপাধ্যায় কামুকে অনুকরণ করেছেন তার পুতুল নাচের ইতিকথায়। এটি জীবনের এক গভীর উপলব্ধির আভাস দেয়। 

কামু তার দ্য প্লেগে বিশ্বযুদ্ধের পরে ছড়িয়ে পড়া ভয়ংকর প্লেগ মহামারিতে মানুষের নিদারুণ অসহায়ত্বের চিত্র অঙ্কন করেছেন। ঠিক একইভাবে পুতুল নাচের ইতিকথায় লেখক আকাশের দেবতার অলক্ষ্য হাতে মানুষের অসহায় মৃত্যুর ছবি একেছেন। এ ছাড়াও অস্তিত্ববাদী ফ্রান্স কাফকা ও হেনরিক ইবসেনের ব্যাপক প্রভাব বাংলা সাহিত্য ও নাটকে লক্ষ্য করা যায়। ইবসেন তার ডলস হাউসে ব্যক্তি স্বাধীনতাকে জীবনের সর্বশক্তি হিসেবে অঙ্কিত করেছেন। তার মতে স্বাধীনতা বিহীন জীবন অর্থহীন। বাংলা সাহিত্যের বড় মাপের প্রায় সব লেখকই কম-বেশি অস্তিত্ববাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালীর কয়েকটি চরণ লক্ষ্য করলেই বোঝা যায় তিনি অস্তিত্ববাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। 

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর অস্তিত্ববাদ চাঙা হয়ে উঠলে মার্কসবাদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। মার্কসবাদ সামগ্রিক মানবতাবাদের কথা বললো আর অস্তিত্ববাদ নিরঙ্কুশ ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বললো। অনেকে অস্তিত্ববাদকে মনস্তাত্ত্বিক একটি ফ্যাক্টর হিসেবে দেখেন। আসলে অস্তিত্ববাদ এক চলমান নৌকার মতো, কোথায় ভিড়বে কেউ জানে না। তবে যতোক্ষণ চলে ততোক্ষণ থেকে যায় এর বাস্তবতা। মানুষ তার প্রতিটি কাজের জন্য দায়ী। যেহেতু সে স্বাধীন, তাই সব সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে। অসুস্থ মায়ের সেবা করবে নাকি দেশের সেবার জন্য বেড়িয়ে পড়বে এটা নিতান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ‘মানুষ সবকিছু পরিমাপের মাপকাঠি’। মানুষ হয়ে কেউ জন্ম নেয় না, তাকে মানুষ হয়ে উঠতে হয়। তাই অস্তিত্ব মানুষের পরিচয়।

লেখক: কবি ও কলামিস্ট 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের - dainik shiksha স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের ঢাকাসহ ১৩ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাল বন্ধ - dainik shiksha ঢাকাসহ ১৩ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাল বন্ধ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ হাইকোর্টের - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ হাইকোর্টের প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা টেম্পু চাপায় কলেজছাত্রী নিহত - dainik shiksha টেম্পু চাপায় কলেজছাত্রী নিহত কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004755973815918