জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে ‘নেচারাল প্লান্ট ফাইবারস এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শিরোনামে বাংলাদেশের অন্যতম ফ্ল্যাগশিপ রেজাল্যুশন গ্রহণ করেছে। আজ এখানে প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই শক্তিশালী সমর্থন পাট, তুলা ও সিসালের মতো প্রাকৃতিক তন্তুর সুচিন্তিত ও টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি বাংলাদেশের অটুট অঙ্গীকারকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির একটি প্রমাণ।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দফতর নিউইয়র্কে গৃহীত এই প্রস্তাবে সদস্য দেশগুলোর প্রতি টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর উৎপাদন, ভোগ ও ব্যবহার উৎসাহিত করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। এতে বৈশ্বিক, আঞ্চলিক, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন, ভোগ ও ব্যবহারে গতি সঞ্চার করতে রাজনৈতিক সমর্থন, সম্পদ সংগ্রহ, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও প্রস্তাবে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর উৎপাদন, ভোগ ও ব্যবহার ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনে অবদান রাখতে পারে উল্লেখ করে, একে সিন্থেটিক ও প্লাস্টিক-ভিত্তিক পণ্যের প্রশংসনীয় বিকল্প হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
প্রস্তাবটি উপস্থাপনকালে নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের প্রতিনিধি প্রস্তাবটিকে শক্তিশালী করতে এবং এ নিয়ে ঐকমত্য অর্জনে সক্রিয়তা, সম্পৃক্তি ও নমনীয়তা, এবং অবদানের জন্য সমস্ত প্রতিনিধিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রতিনিধি তার বিবৃতিতে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাবটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে এবং জীববৈচিত্র সংরক্ষণে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর পরিপূরক ভূমিকা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধি প্রস্তাবটির পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতারও আহ্বান জানান।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ প্রথম এই প্রস্তাব পেশ করে এবং তারপর থেকে দ্বি-বার্ষিকভাবে এই প্রস্তাব জাতিসংঘের সদস্যদের দ্বারা গৃহীত হয়েছ।