অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ায় নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদকে অভিনন্দন জানান তিনি।
এছাড়াও চলমান বন্যায় হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতিতে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ড. ইউনূসের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন শেহবাজ। একইসঙ্গে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সমৃদ্ধির জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলে ফোনালাপে উভয় নেতা সম্মত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রেডিও পাকিস্তান। এছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও উভয় নেতার ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ শুক্রবার বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন। কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণের জন্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তার অবদানের প্রশংসা করেন। এছাড়া বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায়ও সমবেদনা প্রকাশ করেন শেহবাজ।
এতে আরো বলা হয়েছে, (বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে) বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্ধিত সহযোগিতার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন শেহবাজ শরিফ। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও জোরদার করার বিষয়েও গভীর ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
ফোনালাপে উভয় নেতা একমত হন যে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জনগণের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া বৃহত্তর আঞ্চলিক সহযোগিতা দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের জীবনযাত্রার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও একমত হন তারা।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস টেলিফোন আলাপে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে ধন্যবাদ জানান বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।