ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য অঞ্চলে সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে লিখিতভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো।
কয়েকজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে এবং অনেকে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। শুধু সমাজবিরোধীরাই নয়, কিছু দায়িত্বরত কর্মকর্তারাও হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার (১২ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের ওপর সাম্প্রতিক সহিংস হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব অব সাউথ এশিয়া (এফসিসিএসএ), প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়া (পিসিআই), ইন্ডিয়ান উইমেন্স প্রেসক্লাব (আইডব্লিউপিসি), কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (সিজেএ, ভারত), প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স করেসপন্ডেন্টসসহ (আইএএফএসি) শীর্ষস্থানীয় প্রেস সংস্থাগুলোর একটি জোট।
একটি জ্ঞাত সমাজ গঠনে ও গণতন্ত্র প্রক্রিয়াকে সমর্থনে মুক্ত গণমাধ্যমের ভূমিকার ওপর জোর দেয় সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্ব করা এই জোট। তারা বিশ্বাস করে সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার নিয়ে কাজের জন্য পরিচিত নোবেল শান্তি পুরস্কারবিজয়ী ড. ইউনূস সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের উদ্বেগের সঙ্গে একমত।
আবেদনে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এতে সহিংসতার নিরপেক্ষ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের এবং অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। জোটটি রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তা এবং সরকারি কর্তৃপক্ষকে মিডিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা ও সুরক্ষা ক্ষুণ্ন করে এমন কাজ বা বক্তৃতা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে।
সহিংসতা ও ভয় প্রদর্শনের রীতি এড়িয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা যাতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারেন এবং এর মাধ্যমে একটি মুক্ত, স্বাধীন ও বহুত্ববাদী গণমাধ্যমের নীতিমালা সমুন্নত রাখতে পারেন সেটি নিশ্চিত করাই এই জরুরি কল টু অ্যাকশনের লক্ষ্য।