ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বর্তমানের ভারতে অবস্থান করছেন। তবে তিনি কোথায় এবং কি স্ট্যাটাসে আছেন, সেটি নিয়ে নীরবতা পালন করে আসছে ভারত। এনিয়ে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।
বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল এবং নতুন অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর ঢাকার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার কথাই বলছে দিল্লি। অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসও বলেছেন,সম্পর্ক হবে ন্যয্যতা ও সমতার ভিক্তিতে। তবে ভারতের রাজনীতিবিদকরা বেশ কিছু বিষয়ে উদ্বেগের কথাও জানিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন দিনের সফরে আমেরিকাতে রয়েছে। সেখানেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্রের ডেলওয়ারে বাইডেনের ব্যক্তিগত বাসভবনে শনিবার এক বৈঠকে মোদি বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি আলাপে আনেন।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিউইয়র্কের কূটনৈতিক কয়েকটি সূত্রে এটি জানা যায়। মোদী এক এক্স-পোস্টে ছবি যুক্ত করে বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকটি বেশ সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, সেখানে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় আলোচনায় এসেছে।
এর আগে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে চলে যাবার পর আগস্টের শেষ সপ্তাহে বাইডেনের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে মোদী বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার দিকগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেন।
বাইডেনের সঙ্গে দেখা করার পর মোদী কোয়াড সম্মেলনে যোগ দেন। এরপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯ তম অধিবেশনে তাঁর যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। এদিকে, জাতিসংঘের একই সভায় যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সোমবার দিবাগত রাতে নিউইয়র্কের পথে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।