পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশকালে দেহ তল্লাশির সময় বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে শিক্ষকের ওপর হামলা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে কয়েকজন পরীক্ষার্থী। গত সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা নগরীর চকবাজার এলাকার আলিয়া মাদরাসায়।
গতকাল দুপুরে আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রসচিব মো. আবদুল মতিন বলেন, সোমবার পরীক্ষা শুরুর ৪৫ মিনিট আগে শিক্ষকরা মাদরাসা ফটকের সামনে দাখিল পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করছিলেন। এ নিয়ে কয়েকজন পরীক্ষার্থী শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে।
এক পর্যায়ে ওই পরীক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় শিক্ষক কামরুল ইসলাম শিকদার মাথায় গুরুতর আঘাত পান। এই ঘটনার পর আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা দৌলতপুর দারুল আমান হাতিমিয়া আলিম মাদরাসা, ইটাল্লা দাখিল মাদরাসা ও ভুতুয়া শ্রীপুর মাদরাসার পরীক্ষার্থীদের সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ শওকত ওসমান ও আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে শান্ত করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
আবদুল মতিন আরো বলেন, সোমবার পরীক্ষা শেষে মারামারির অভিযোগে ছয়জন পরীক্ষার্থীকে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, পরীক্ষার নীতিমালা ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের নীতিমালা মোতাবেক পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের আগে দেহ তল্লাশি করা হয়। যেন পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন, বই নিতে না পারে। তল্লাশি কেন করা হচ্ছে, এই কারণে শিক্ষকের ওপর হামলা করা হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মানবিক কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সময়ে যেন কোনো সমস্যা না হয় সে জন্য পরীক্ষাকেন্দ্র স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি বিষয়ের পরীক্ষাগুলো কুমিল্লা ইউসুফ হাই স্কুলে হবে এবং কুমিল্লা জিলা স্কুল, নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ইউসুফ হাই স্কুলের শিক্ষকরা অন্য পরীক্ষাগুলো নেবেন।