রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম আমিরুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা।
দুপুর পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ করে রাখে। জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে বিরোধিতা করেছেন বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি প্রথমে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরে আসতে নোটিশ দেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় তিনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দমনে ছাত্রলীগ নেতাদের সহযোগিতা নেন। এতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।
বাঙলা কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থাকাকালীন নানান দুর্নীতিতে জড়ান। বেশ কয়েকটি কলেজকে জিপিএ ফাইভ পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তার অবদান ছিল। এমন অভিযোগে তাকে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং বাঙলা কলেজে পদায়ন করা হয়। এখানে এসেও তিনি বিভিন্ন অনিয়ম করেছেন।
তারা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের দমাতে তিনি দুই বস্তা পাথর কলেজের বিভিন্ন ভবনের ছাদে রেখে দেন। এ ছাড়াও ছিল কাঁচের বোতল। এগুলো আনা হয়েছিল ছাত্রলীগের নেতাদের জন্য। তারা ছাদের ওপর থেকে এগুলো ছুঁড়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আহত করেছেন।
অভিযোগ করে তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার সময় বাঙলা কলেজ থেকে দুই বাসভর্তি ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সেখানে যায়। এই বাস ব্যবহারের অনুমতি অধ্যক্ষ তাদের দিয়েছেন। তা ছাড়া আন্দোলন চলমান থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল বন্ধ থাকলেও ছাত্রলীগ নেতাদের অবস্থানের সুবিধার্থে তিনি হোস্টেলগুলো খোলা রেখেছেন। তার শিক্ষার্থী বিরোধী অবস্থান এবং অনিয়মের কারণে শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগ চায়।