রাজধানীর বাড্ডার আনন্দনগর এলাকার একটি বাসায় হোসনে আরা মীম (১৭) নামে এক শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দেয় ওই শিক্ষার্থী। দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন মুগদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে বাড্ডা থানা পুলিশ খবর পেয়ে মুগদা হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এরপর বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।
হাসপাতালে অবস্থানরত মৃত শিক্ষার্থীর খালু মো. বকুল মিয়া জানান, বাড্ডা দক্ষিণ আনন্দনগরে তাদের নিজেদের বাসা। মীমের বাবা মো. জালাল হোসেন নিরাপত্তাকর্মী। মা শান্তি বেগম স্থানীয় একটি স্কুলে আয়ার কাজ করেন। পরিবারের সঙ্গে তিনতলা বাসার তিনতলাতে থাকতো মীম। রাজধানী আইডিয়াল স্কুল থেকে এবার এসএসসি পাশ করেছে সে। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে মীম ছিল বড়।
তিনি আরও জানান, মীম সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ভর্তির ইচ্ছা প্রকাশ করে। কিন্তু মীমের বাবা তাকে ইম্পেরিয়াল কলেজে ভর্তির হতে বলে। এ বিষয় নিয়ে বাবার সঙ্গে মনমালিন্য হয় মীমের। এই কারণে সে বাবার সঙ্গে অভিমান করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় উড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।
বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফাতেমা সিদ্দিকা সোমা জানান, খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মুগদা হাসপাতাল থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে গলায় ফাঁস আত্মহত্যা করেছে। তবে বিস্তারিত এখনও জানতে পারিনি।