দৈনিক শিক্ষাডটকম, রুয়েট: অবসরোত্তর ছুটিতে গিয়ে বাড়তি পেনশন আবদার করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক কর্মকর্তা। একটি বেসরকারি কলেজে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার পেনশন তিনি রুয়েট থেকে আদায় করার চেষ্টা করছেন তিনি। রুয়েট প্রশাসন এবং সিন্ডিকেটও তাঁর আবদারে সম্মতি দিয়ে নথিপত্র পরবর্তী ধাপে পাঠিয়েছে। তবে এরই মধ্যে বিষয়টি নজরে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)।
ইউজিসি বলেছে, ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা যুক্ত করে পেনশন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই কর্মকর্তাকে অনিয়ম করে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারের পদে বসানোর বিষয়টিও ধরেছে ইউজিসি। অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার পদে গিয়ে ওই কর্মকর্তা রুয়েট থেকে যে বাড়তি আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন, তা ফেরত এনে রুয়েটের কোষাগারে জমা করার নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি। কিন্তু এই নির্দেশ প্রতিপালনে গড়িমসি করছে রুয়েট কর্তৃপক্ষ। এই ফাঁকে ইউজিসিতেও তদবিরে নেমেছেন পিআরএলে যাওয়া রুয়েটের ওই কর্মকর্তা।
পিআরএলে যাওয়া এই কর্মকর্তার নাম দিলীপ কুমার ঘোষ। তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। তিনি রাজশাহী মহানগরীর বরেন্দ্র কলেজের প্রভাষক ছিলেন। বেসরকারি এই কলেজের চাকরির অভিজ্ঞতা দেখিয়ে ২০১২ সালে তিনি রুয়েটে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে চাকরি নেন। পরে রুয়েট অফিসার্স সমিতির সভাপতিও হন। রুয়েটে ১৩ বছর চাকরি করে সম্প্রতি পিআরএলে গেছেন। এখন তিনি বেআইনিভাবে আগের বেসরকারি কলেজের ১০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতাসহ অবসরজনিত আর্থিক সুবিধা পেতে মরিয়া।
দিলীপ কুমার ঘোষ বলেন, ‘আমি নিয়মের মধ্যেই আছি। ডিন কমিটি আমার প্রস্তাব সিন্ডিকেটে নিয়ে গেছে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি আগের কলেজের চাকরির লিভ স্যালারি পেনশন কন্ট্রিবিউশনের ১০ শতাংশ হিসেবে প্রায় ৭৪ হাজার টাকা রুয়েট কোষাগারে জমা দিয়েছি। সুতরাং, আমার ২৩ বছরের পেনশন দাবি করা যৌক্তিক। ইউজিসি কেন বাগড়া দিয়েছে তা আমি জানি না। তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়নি।’