নরসিংদী পৌর ঈদগাহ্ মাঠের পাশের একটি তিনতলা বাড়ির ছাদে মো. কামরুজ্জামান জামান (৩৮) নামের এক সাবেক শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে নরসিংদী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বাড়ির তিন তলার ছাদে নিয়ে দুর্বৃত্তরা কামরুজ্জামান জামানের গলায় দাঁড়ালো অস্ত্রের আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় জামানকে প্রথমে রাত ৯টায় নরসিংদী সদর হাসপাতাল নেয়া হয়। অবস্থা গুরুতর থাকায় সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেয়ার পথে রাত পৌনে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
কে বা কারা, কী কারণে কামরুজ্জামানকে হত্যা করেছে তার কিছুই বলতে পারছেন না তার পরিবারের সদস্যরা।
নিহত মো: কামরুজ্জামান জামান নরসিংদী পৌর শহরের সাটিরপাড়া এলাকার মৃত আবদুল হামিদের ছেলে। সদর উপজেলার হাজীপুরের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে তিনি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ ১০ বছর পর দেশে ফিরে টিউশনি শুরু করেন তিনি। তার ৮ বছর বয়সী এক মেয়ে ও ৩ বছর বয়সী এক ছেলে আছে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দুর্বৃত্তরা গলায় আঘাত করার পর কামরুজ্জামান ওই অবস্থায় ছাদ থেকে নেমে আসেন। তাকে এ অবস্থায় উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়েছিলো।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল সিয়াম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কামরুজ্জামানকে যখন আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিলো, তখন তার গলা থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তার গলায় এমনভাবে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়েছে, এতে ভোকাল কর্ড ও খাদ্যনালি কেটে গিয়েছিলো। রক্তক্ষরণ থামানো যাচ্ছিল না। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত তাকে ঢাকায় পাঠাই।
নিহতের ভাই মো. মনিরুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কামরুজ্জামানকে কেউ এভাবে হত্যা করতে পারে, এটাই কোনোভাবে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ওই বাড়ির ছাদে গিয়ে বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর যে গলি ধরে হত্যাকারীরা পালিয়েছে, সেখানকার একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।