দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) রিপোর্টের সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপির ভাষা এবং টিআইবির ভাষা মিলে গেছে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রতিদিন প্রেস কনফারেন্স করে যে কথাগুলো বলেন, সেগুলোকে একটু পরিশীলিত ভাবে টিআইবি উপস্থাপন করেছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টিআইবি গবেষণা না করেই শ্যালো (হালকা) কিছু বিষয় অর্থাৎ পত্রিকার রিপোর্ট এবং তড়িঘড়ি করে কিছু তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সেটার ভিত্তিতেই তারা প্রেস ব্রিফিং করে। এই রিপোর্টটিও আমার সে রকম মনে হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকরা বলছেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, সুন্দর, স্বচ্ছ নির্বাচন হয়েছে– সেটিকে ম্লান করার উদ্দেশ্যে টিআইবি এই রিপোর্টটি দিয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। পৃথিবীর শক্তিধর দেশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশ। নতুন সরকারকে অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং আবার অনেকে এই সরকারের সঙ্গে কাজ করার ও সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই রিপোর্ট আসলে কারো পক্ষ হয়ে দেওয়া হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন রেখেছে অনেকে। কারণ বিএনপির ভাষা এবং টিআইবির ভাষা মিলে গেছে। রুহুল কবির রিজভী প্রতিদিন প্রেস কনফারেন্স করে যে কথাগুলো বলে সেগুলোকে একটু পরিশীলিত ভাবে টিআইবি উপস্থাপন করেছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সমালোচনাসহ যারা এই নির্বাচন বর্জন করেছে, প্রতিহত করেছে, প্রতিহত করতে চেয়েছে, প্রতিহত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এখনও চেষ্টা চালাচ্ছে– তাদের মুখে অস্ত্র তুলে দেওয়ার জন্য এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যে কঠোরভাবে, সুন্দরভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে সেটির বিন্দুমাত্র প্রশংসা টিআইবির রিপোর্টে নেই।
হাছান মাহমুদ বলেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের ভুল-ত্রুটি উপস্থাপন করে, সরকারের সমালোচনা করে– আমরা সেগুলোকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করি। কিন্তু যখন রিপোর্ট কারো পক্ষে করা হয় বা সেটি রাষ্ট্র, সমাজ, সরকার– কারো উপকারে আসে না। সেটি তখন বিশেষ কেনো গোষ্ঠীর মুখপাত্র হয়ে দাঁড়ায়। টিআইবি যেন বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর বা নির্বাচন বিরোধী অপশক্তির কিংবা গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির মুখপাত্র না হয়– সেটি আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের কামনা।