বিএনপি সরকার গঠন করলে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক সমিতির সব যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা বোর্ড ও নিবন্ধনের বিকল্প নেই।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে শিক্ষক দিবস-২০২৪ উপলক্ষে মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের এ আশ্বাস দেন তিনি।
এ সময় এই শিক্ষক নেতা আরো বলেন, দেশে বিশাল সংখ্যক বেকার কর্মসংস্থান বিশেষ করে মেয়েদের বেকারত্ব দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার পাশাপাশি আর্থিক সচ্ছলতার পথ সৃষ্টি করেছে কিন্ডারগার্টেন স্কুল। মাতৃত্বসুলভ, আধুনিক, যুগোপযোগী ও গবেষণাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার শুরু এই কিন্ডারগার্টেন থেকে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন শেখ মিজানুর রহমান।
প্রধান বক্তা ছিলেন মো. জাকির হোসেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব। উদ্বোধক ছিলেন আকন কুদ্দুসুর রহমান ও সঞ্চালক ছিলেন মো. আরিফুর রহমান তুহিন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি শেখ মিজানুর রহমান তার সমাপনী বক্তব্যে কিন্ডারগার্টেন স্কুল পরিচালনার স্বার্থে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন।
উদ্বোধক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, আজকের এই চমৎকার অনুষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের উপস্থিতিই বলে দেয় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাব্যবস্থার বিকল্প নেই। সরকারের সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে, নিজেদের টাকায় শিক্ষা উদ্যোক্তা হয়ে সরকারকে যেভাবে নিঃস্বার্থভাবে শিশু শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করছে রাষ্ট্রের উচিত তাদের দাবি মেনে নেয়া, পাশাপাশি সম্মান দেখানো ও সহযোগিতা করা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালক মো. আরিফুর রহমান তুহিন স্বাগত বক্তব্যে, নিবন্ধন গেজেট-২০২৩ রহিতকরণ এবং বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক সমিতির বৈষম্যময় শিশুশিক্ষা সংস্কারের অংশ হিসাবে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের নিবন্ধনের কিছু সাংঘর্ষিক। সেই বিষয়গুলো বাদ দিয়ে সহনীয় বিধিমালা পুনরায় প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ‘কিন্ডারগার্টেন নিবন্ধন বিধিমালা’ প্রণয়নের জন্য সুপারিশমালা তুলে ধরেন।