বিএনপির সমাবেশকারীদের অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে আন্দোলনের নামে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ, যারা জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হয়েছিলো তাদের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিলো, বোমা হামলা করা হয়েছিলো। এই নির্মমতার জন্য দায়ী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, মির্জা ফখরুলসহ আজ যারা লম্বা লম্বা বড় বড় কথা বলে, যারা বিকেলে সমাবেশ করবে তারা সবাই হুকুমদাতা ও নির্মমতার জন্য দায়ী। এসব নির্মমতার বিচার হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী।
বুধবার ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ ও ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে সামরিক জান্তার হাতে নির্যাতিতদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’ আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নৈরাজ্য ও মানুষ পোড়ানোর ঘটনায় সন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে একজন সেনা অফিসার বা বিমান বাহিনীর অফিসার ঘুমিয়ে আছে, তাকে হঠাৎ ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে জেল, ফাঁসি দেয়া হয়। এমনও ঘটনা ঘটেছে নাম মিল থাকার কারণে একজনের পরিবর্তে আরেকজনকে ফাঁসি দিয়ে দেয়া হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটেছে যখন ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখন সে আর্তনাদ করছে আমি নই, আমি নই। কিন্তু কে শোনে কার কথা, ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এমন ঘটনাও ঘটেছে যে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে কিন্তু কোর্ট বসেছে পরে। রায় দিয়েছে পরে। এভাবে জিয়াউর রহমান নির্মমতা বর্বরতা চালিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আজ আমার বামপাশে জিয়াউর রহমানের নির্মমতার যারা শিকার তারা দাঁড়িয়েছেন আর ডানপাশে বিএনপি নেতাদের নির্মমতার যারা শিকার তারা দাঁড়িয়েছেন। আজ তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচারের দাবি জানাচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ তাদের বিচার হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধ্যাপক ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, আমরা প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিলো, যে দলের জন্ম হয়েছিল ক্যান্টনমেন্ট থেকে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা বিশ্বাস করে সন্ত্রাসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক অধ্যাপক আবদুর রহিম বলেন, এ দেশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ। গণতন্ত্রের দেশ। এখানে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই। বিদেশি শক্তির ভয় দেখিয়ে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ক্ষমতায় আসতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে।
এ কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা, ঢাবি নীল দলের আহ্বায়ক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারসহ অগ্নিসন্ত্রাস, বোমা হামলা ও নৈরাজ্যের শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।