পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ঝালকাঠিতে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮৮ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে সদর থানার এসআই দেবাসীষ মোদক বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেয়া ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং আহত করার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও জেলা আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিবকেও আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই গতকাল শনিবার সকালে শহরের আমতলা এলাকায় বিএনপি তাদের কর্মসূচি পালন করেছে। দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা শেষে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে ৬ পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকেই ১৬ জনকে আটক করা হয়। মামলায় নামধারী আরও ২২ জন পলাতক আছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আটক ১৬ জনকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ রোববার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এদিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাদাৎ হোসেন পুলিশের ওপর বিএনপির হামলা করার অভিযোগ অস্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমাদের পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে অসংখ্য নেতাকর্মীদের আহত করেছে। উল্টো মামলা দিয়ে এখন হয়রানি করা হচ্ছে বলেও দাবি এ বিএনপি নেতার।
মামলার নথিতে পলাতক উল্লেখ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, সদর উপজেলা সভাপতি এজাজ হাসান, পৌর সভাপতি অ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসান, যুবদল আহ্বায়ক শামীম তালুকদার, ছাত্রদল সভাপতি আরিফুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস সরদার দিপুসহ উল্লেখযোগ্য আরও ২২ জন নেতাকর্মীর নাম রয়েছে।
এছাড়া গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান খানসহ ১৬ জনকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।