বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রকল্পের অধীনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ পাচ্ছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ১৮২ জন শিক্ষার্থী।
সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে উপসচিব রতন কুমার মণ্ডল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ফেলোশিপ ঘোষণা করা হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তিন ক্যাটাগরিতে এ ফেলোশিপ দেয়।
এরমধ্যে ভৌত বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিন থেকে ৩৬ জন, রসায়ন ডিসিপ্লিন থেকে ১২ জন, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন থেকে ১০ জন, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন থেকে ১০ জন, পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিন থেকে ৮ জন, গণিত ডিসিপ্লিন থেকে ৭ জন, নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিন থেকে ৩ জন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন ও স্থাপত্য ডিসিপ্লিন থেকে ১ জন করে মোট ৮৮ জন মনোনীত হয়েছেন।
খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ৬৯ জনের মধ্যে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন থেকে ২৮ জন, অ্যাগ্রো টেকনোলজি ডিসিপ্লিন থেকে ১৬ জন, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিন থেকে ১৫ জন ও সয়েল ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিন থেকে ১০ জন মনোনীত হয়েছেন।
জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ২৪ জনের মধ্যে ফার্মেসি ডিসিপ্লিন থেকে ১৮ জন ও বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন থেকে ৬ জন মনোনীত হয়েছেন।
এছাড়া পিএইচডি শিক্ষার্থী হিসেবে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন থেকে ১ জন ফেলোশিপের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
এদিকে ফেলোশিপের জন্য মনোনীতদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহিত করা হচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় অনুদান দেওয়া হচ্ছে। নিজস্ব রিসার্চ ইনডোমেন্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও গবেষণায় আত্মনিবেশ করেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ফেলোশিপে এত সংখ্যক শিক্ষার্থী ও গবেষকের মনোনীত হওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গৌরবের।