বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনের সময় বিভিন্ন আইন ও অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিজ্ঞানমনস্ক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন মহান ব্যক্তি। বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনের সময় বিভিন্ন আইন ও অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছিলেন। দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম সতর্ক বার্তা পাঠাতে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন এবং পরমাণু শক্তি কমিশন গঠন ও পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণসহ বিভিন্ন যুগান্তকারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির’ উদ্যোগে আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু বক্তৃতামালা’ অনুষ্ঠানে এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর বাংলাদেশের যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন তার উপর দাঁড়িয়ে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আজ এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভাবনা : জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল। মূল প্রবন্ধে তিনি বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র বিনির্মাণ ও এর উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিজ্ঞান ভাবনা ও দর্শনের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করে বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জানভিত্তিক উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার বিভিন্ন সূদুরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলমের সভাপতিত্বে ও ইনস্টিটিউটের রিসার্চ ফেলো তৌহিদুল হাসান নিটোলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ।