বিদ্যালয় সংস্কারের টাকা লুটপাটের অভিযোগ

বরিশাল প্রতিনিধি |

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বড়িয়া নন্দ পাড়া ১২১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একই ভবনের জন্য ক্ষুদ্র মেরামতসহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে তিনটি খাত থেকে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রুটিনথ মেইনটেনেন্স এর ৪০ হাজার টাকা, লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (স্লিপ) বিল ৫০ হাজার সহ ক্ষুদ্র মেরামতের ২ লাখ সর্বমোট এই বিদ্যালয়ে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। কোন প্রকার কাজ না করেই ক্ষুদ্র মেরামতের ২ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আঞ্জুম আরা। কাজ না করেই তৈরি করা হয়েছে ভুয়া ভাউচার। অপরদিকে উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তার প্রত্যয়ন পত্র ছাড়াই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ক্ষুদ্র মেরামেতের ২ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে। এই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে গণমাধ্যম কর্মীদের হুমকি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমারা বেগম।

ক্ষুদ্র মেরামতের ২ লাখ টাকার বিল উত্তোলনের বিষয় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে বলেন বড়িয়া নন্দপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কোনো বিল দেয়া হয়নি। বিল উত্তোলন করতে হলে তো আমার স্বাক্ষর প্রয়োজন। বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তার দুই রকমের বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের উত্তরে বেরিয়ে আসে সরকারি টাকা আত্মসাৎ এর মূল রহস্য।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা, স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান্ট (স্লিপ) ফান্ডের ৫০ হাজার টাকা ও রুটিনথমেইনটেনেন্স জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ পায় স্কুলটি। নিয়ম অনুযায়ী এই কাজগুলি স্কুল পরিচালনা কমিটির তত্ত্বাবধানে হওয়ার কথা। গত মঙ্গলবার সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, স্কুল ভবন রং করা ব্যতীত দৃশ্যমান কোনো কাজ চোখে পড়েনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছালে আহমেদ বলেন, আমি স্বাক্ষর দিয়েছি প্রধান শিক্ষক বিল উত্তোলন করেছেন। আমি বরিশাল শহরে বসবাস করি বিদ্যালয় কি পরিমান কাজ করেছে সেটা আমার ভালো জানা নেই। 

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা আবুল খায়ের মিয়া জানান, এই বিদ্যালয়ের ব্যাপারে আমরা কোন প্রত্যয়ন পত্র দেই নাই। প্রধান শিক্ষক কিভাবে বিল উত্তোলন করেছে বিষয়টা আমাদের জানা নেই। 

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান আমার স্বাক্ষরে প্রধান শিক্ষক ব্যাংক থেকে বিল উত্তোলন করেছে। এবং এলজিইডি কর্মকর্তার প্রত্যয়ন পত্র পেয়েই আমি স্বাক্ষর দিয়েছি। তবে বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের কাজে যে এতটা অনিয়ম করেছে সেই বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আপনাদের মাধ্যমে খবর শুনে তাৎক্ষণিক আমি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন এসেছি,আমি কাজে সন্তোষ নই এবং প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। ওই স্কুল থেকে আমি বিকেল চারটার পরে অফিসে এসেছি এবং যেসকল স্থানে কাজ করার দরকার তা দেখিয়ে দিয়েছি। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
হামলায় মোল্লা কলেজের ৩ শিক্ষার্থী নিহত, দাবি কর্তৃপক্ষের - dainik shiksha হামলায় মোল্লা কলেজের ৩ শিক্ষার্থী নিহত, দাবি কর্তৃপক্ষের সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত নৈরাজ্যকারীদের প্রতিহত করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান কাজ: সারজিস - dainik shiksha নৈরাজ্যকারীদের প্রতিহত করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান কাজ: সারজিস মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা - dainik shiksha সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করতে হবে: নুর - dainik shiksha অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করতে হবে: নুর কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026071071624756