টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার দেউলী খন্দকার নূর আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে তদন্ত করেন বাসাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমি সুপারভাইজার মো. আল আমিন।
জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মো. এবাদত হোসেন ও প্রধান শিক্ষক মো. মজনু মিয়ার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আবেদন করেন বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আসাদুল হক ও ম্যানেজিং কমিটির চার জন অভিভাবক সদস্য এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
তারা এই আবেদন করেন জেলা প্রশাসক, জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা), উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর। এরপর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে তদন্তের তারিখ জানিয়ে অভিযোগকারীদের উপযুক্ত তথ্য প্রমাণাদি কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি দেয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে আসেন বাসাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আল আমিন। তদন্ত শুরু করার আগেই সেখানে প্রধান শিক্ষকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এক দল যুবক। এ ছাড়া অভিযোগকারীদের পক্ষে গ্রামের বিভিন্ন বয়সের একদল লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত শুরু হওয়ার একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল বাক বিতণ্ডা হয়।
২০২১ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয়ে আয়া পদে সহকারী শিক্ষকের আপন শ্যালিকাকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা কর্মী তার ভাতিজাকে নিয়োগ করেছেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, তিনবার বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে, কেউ আবেদন করেননি। স্বজনপ্রীতি হয়নি, অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হইনি এবং উন্নয়ন খাতেও কোনো টাকা নেয়া হয়নি।
তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার মো. আল-আমিন বলেন, তদন্তের সময় দুটো গ্রুপের লোকজন থাকার কথা নয়। এটা সত্যি অসংগতি। কিন্তু আমি এটাও বলছি, এদের উপস্থিত আমার তদন্তে কোনো প্রভাব পড়বে না।
গাছ কাটার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গাছ কাটা হয়নি তা প্রমাণ পাওয়া গেছে। সব শিক্ষকদের আলাদা আলাদা করে স্টেটমেন্ট চাওয়া হয়েছে। এটা পেলেই রিপোর্ট তৈরি হবে।