জীবননগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ভবনের সামনে চলাচলের রাস্তা ও খেলার মাঠটি পানিতে ডুবে গেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা করোনা সংক্রমণের পর বিদ্যালয়ে এসে জলাবদ্ধতার কারণে মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না।
তারা একপ্রকার বন্দিদশায় রয়েছে।কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় স্কুলের মাঠটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘাসের মাথাগুলো উঁচু হয়ে উঁকি দিচ্ছে আকাশে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির এই দশা যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।ভুক্তভোগী পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী অহনা ফাল্গুনী জানায়, বৃষ্টি হলে আমাদের চলাচলের রাস্তা ও খেলার মাঠটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। এ সময় স্কুলে এসে হাঁটাচলা এবং খেলাধুলা করা যায় না। আমরা ক্লাসরুমের মধ্যে আটকা পড়ে থাকি। করোনার কারণে বাড়িতে একরকম বদ্ধ হয়ে ছিলাম। স্কুলে এসেও দেখি একই অবস্থা।
প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার বলেন, দৌলৎগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির পানি নিস্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে ভবনের চারপাশসহ মাঠ পানিতে তলিয়ে যায়। জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। কয়েক বছর ধরেই এ অবস্থা চলছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চারপাশে উঁচু করে বাড়ি নির্মাণ করায় পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। এ মুহূর্তে মাঠটিতে মাটি ভরাটের পাশাপাশি পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা হয়নি।
জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে চাইছে না।\হইউএনও আরিফুল ইসলাম জানান, উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভায় জলাবদ্ধতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় পৌর মেয়র মাটি ভরাটসহ পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।