গাজীপুর কাপাসিয়ায় ডুমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে চার কর্মচারী নিয়োগের নামে বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়োগ প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ইউএনও ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক নিয়োগ প্রার্থী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ডুমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল ও সাধারণ শাখায় শূন্য পদে একজন করে ট্রেড অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্পিউটার, জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস, নৈশপ্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য গত জুন মাসে পত্রিকায় দুটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ দেওয়ার আশ্বাসে স্কুল-সংলগ্ন দুলাল মিয়ার ছেলে আব্দুল আলীম মীরের কাছ থেকে প্রায় ৬ মাস আগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম তিন লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। একই পদে আরও কয়েক জনের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন বলে জানতে পারেন তিনি। ইতোমধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে আব্দুল আলীম টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক নানা টালবাহানা করছেন।
আয়া পদে নিয়োগ প্রার্থী জাকিয়া সুলতানার বাবা ফজলুল করিম জানান, তার মেয়েকে ওই স্কুলে আয়া পদে নিয়োগ দেবেন বলে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নাসিরউদ্দিন মাস্টার প্রায় ৬ মাস আগে তার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। করোনা সংকটের পর স্কুল খোলা হলে জাকিয়া নিয়মিত স্কুলে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। গত ২৩ নভেম্বর নিয়োগ বোর্ড গঠন করলে ঘুষ-বাণিজ্যের বিষয়টি জানতে পেরে চারটি পদেই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। ইতোমধ্যে অনেক দেন-দরবার করে তিনি আড়াই লাখ টাকা ফেরত পান। পরে তার মেয়েকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়।
ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী স্থানীয় শামীম জানান, চারটি পদে ৮-১০ জন প্রার্থীর কাছ থেকে প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট প্রায় ২৭ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের দাবি, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্রমূলক। নিয়োগ দেওয়ার নামে তিনি কারও কাছ থেকে টাকা নেননি।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নাসিরউদ্দিন মাস্টার জানান, তাদের বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যার কোনো ভিত্তি নেই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, তিনি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন।