পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের ১০২ নম্বর মধ্য চরবোরহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন ঐ ইনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নজির আহম্মেদ সরদার। তবে চেয়ারম্যান বলছেন, ‘স্কুল ভবনটা ইউনিয়নের মঝখানে থাকায় আমি এখানে অস্থায়ী অফিস করেছি।’ এ ঘটনায় ঐ স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে উপজেলা থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরত্বে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে ১০ হাজার ভোটার নিয়ে চরবোরহান ইউনিয়নটি গঠিত হয়। প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে মো. নজির আহম্মেদ সরদার ২০১৭ সালের জুলাই মাসের ২১ তারিখ শপথ গ্রহণ করেন। শপথগ্রহণের বছর না যেতেই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে স্কুলের দুটি কক্ষ দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সামনে খাঁচা বানিয়ে হাঁস-মুরগির খামার করেছেন। হাঁস-মুরগির খাঁচা থাকায় বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভেতরের একটি কক্ষে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তিনি। ঐ কক্ষের সামনের বারান্দা দিয়ে রান্নাঘর নির্মাণ করেছেন। অন্য একটি কক্ষ ইউনিয়ন পরিষদের কাজ ও গেস্টরুম হিসেবে ব্যবহার করছেন।
ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুনীল বাবু বলেন, ‘আমি তাকে স্কুলের ভবন ছাড়তে বলেছি, কিন্তু তিনি না ছাড়লে আমি কী করতে পারি? তিনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।’
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘আমার কাছে কখনো চেয়ারম্যান স্কুল ভবনে থাকার কথা বলেননি। সহকারী শিক্ষা অফিসার মামুনের মাধ্যমে চেয়ারম্যানকে ভবন ছাড়ার কথা বলেছি। তিনি ভবন না ছাড়লে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া ফেরদৌস বলেন, ‘আমার দশমিনায় যোগদান করার অনেক আগ থেকে চেয়ারম্যান ঐ ভবনে উঠেছেন। তিনি আমাকে স্কুল ভবনে থাকার কথা কখনো বলেননি। তবে আমি কয়েক দিন হলো শুনেছি স্কুল ভবনের একটি রুমে পরিষদের কাজকর্ম করা হচ্ছে।’