বিদ্যালয়ের বেতন প্লাস্টিকের বোতল

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

মহাসাগরের গভীরতা থেকে শুরু করে পাহাড়ের চূড়া—সবখানেই মানুষ প্লাস্টিক ফেলে এই গ্রহের পরিবেশ দূষণ করছে। দুই দশক আগের তুলনায় বিশ্বে এখন দ্বিগুণ প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে এবং এর বেশির ভাগেরই শেষ ঠিকানা হয় মাটি। এই বর্জ্যের ছোট্ট একটি অংশকে সফলভাবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা হয়। ইতিমধ্যে এমন একটি উদ্যোগ নিয়েছে আসামের একটি স্কুল।

তেমজেন ইমনা আলং নাগাল্যান্ডের পর্যটন ও উচ্চশিক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য অক্ষর ফাউন্ডেশনের তৈরি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভিডিও শেয়ার করেছেন। বিদ্যালয়টির অবস্থান আসামের রাজধানী গুয়াহাটির গোরচুক এলাকায়। এতে পড়াশোনার ফি হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্লাস্টিকের বর্জ্য নেওয়া হয়। প্রতি সপ্তাহে একজন শিক্ষার্থীকে প্লাস্টিকের ২৫টি বোতল জমা দিতে হয়।

বিদ্যালয়টি ২০১৬ সালে গড়ে তোলেন পারমিতা শর্মা ও মাজিন মুখতার নামের এক দম্পতি। তাঁরা দেখলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বড় যে দুটি চ্যালেঞ্জ, তা হলো অত্যধিক আবর্জনা ও নিরক্ষতা। দুটি সমস্যা একসঙ্গে সমাধান করতে তাঁরা এই স্কুল গড়ে তোলেন। এখানে শিশুরা প্রতি সপ্তাহের পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল জমা দিতে পারলে বিনা বেতনে পড়তে পারবে। এভাবে জমা বোতলগুলো এখন ইট, সড়ক এমনকি শৌচাগার নির্মাণেও ব্যবহার করা হচ্ছে। স্কুলের পুরোনো শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে অর্থ উপার্জনও করতে পারে।

বিদ্যালয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী আছে। তাদের বয়স ৪ থেকে ১৫ বছর। আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা তারা।

২০১৩ সালে মাজিন নিউইয়র্ক থেকে একটি স্কুল প্রজেক্টের জন্য ভারতে আসেন। তখনই কাজের সূত্রে পারমিতার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পারমিতা তখন টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সের শিক্ষার্থী।

মাজিন বলেন, ‘বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া অনেক শিক্ষার্থী ছোটবেলা থেকেই কারখানা ও পাথরের কোয়ারিতে খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করে। আমরা ভাবলাম, এমন একটি স্কুল তৈরি করব, যা তাদের গুণগত শিক্ষার পাশাপাশি আর্থিক প্রয়োজনটা মেটাবে।’

বিদ্যালয়ে নিয়মিত বিষয়ের বাইরেও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাষা, প্লাস্টিককে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা, কাঠের কাজ, বাগান করাসহ নানা বিষয় শেখানো হয়। স্কুলটিতে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন প্রায় শূন্য।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে - dainik shiksha ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য - dainik shiksha ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত - dainik shiksha উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস - dainik shiksha যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি - dainik shiksha এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক - dainik shiksha মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক - dainik shiksha ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0047488212585449