বরিশাল বিভাগে ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বরিশাল নগরীসহ অন্যান্য জেলা ও উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। তবে এই পরিস্থিতিকে বন্যা বলা যাবে না। এটি মৌসুমি পানি প্রবাহ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, বিভাগের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠিতে বিষখালী নদী বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদী ২৪ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলা পয়েন্টে মেঘনা নদী ৮৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে মেঘনা ১ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা পয়েন্টে পায়রা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার, বরগুনা সদর উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদী ২১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদী ৭ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদী ১৫ সেন্টিমিটার ও উমেদপুর পয়েন্টে কচা নদী বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা পয়েন্টে পায়রা ও ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ, হিজলা, মুলাদী, মেহেন্দীগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, দুমকি, মির্জাগঞ্জ, গলাচিপা, বাউফল, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, বেতাগী, আমতলী, তালতলী, ভোলা জেলার সবগুলো উপজেলা, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়িয়া, নেছারাবাদ, কাউখালী, নাজিরপুর, ঝালকাঠি সদর, নলছিটিসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার বৃহদাংশ ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় অনেকের বসত-ঘরে পানি ঢুকে গেছে। এতে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।