টানা ভারী বর্ষণে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ। এরই মধ্যে পানি প্রবেশ করায় ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জামালপুর কার্যালয়ের পানি পরিমাপক আবদুল মান্নান বলেন, যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। যেভাবে পানি বাড়ছে, এতে নতুন নতুন আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সড়ক ভেঙে ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে পানি। এছাড়া ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী, কুলকান্দি, বেলগাছা, নোয়ারপাড়া ও সাপধরী ইউনিয়ন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী, বাহাদুরাবাদ ও চিকাজানী ও মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়ক, মাহমুদপুর, নাংলা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং দুর্গম চরাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বিভিন্ন গ্রামের ফসলি মাঠ তলিয়ে গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয় সূত্র জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় ইসলামপুর উপজেলার ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া মেলান্দহ উপজেলায় দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানি ঢুকেছে। তবে এখন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা সুলতানা বলেন, উপজেলার ১৫টি প্রাথমিক শিক্ষা বিদ্যালয়ের মাঠে পানি ঢুকেছে। তাই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না।
ইসলামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, বন্যার পানি বিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ায় ১২ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।