রাজবাড়ী সদর উপজেলার চর খানখানাপুর এলাকায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সুমনের বাড়িতে অনশনে বসেছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী হামিদা (১৬)।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সুমন মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিয়ের দাবিতে সুমনের বাড়িতে অনশনে বসেছে হামিদা। সে সুমনের বাড়ির বারান্দায় বসে আছে। তবে বাড়িতে কেউ নেই। ঘরের দরজা তালাবদ্ধ।
জানা যায়, বুধবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত থেকে অনশনে বসেন ওই স্কুলছাত্রী। প্রেমিক একই গ্রামের শফিক মণ্ডলের ছেলে সুমন মণ্ডল (২৩)। তিনি স্থানীয় খানখানাপুর বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করেন।
স্কুলছাত্রী হামিদা জানায়, তিন বছর আগে প্রতিবেশী সুমন মণ্ডলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুমনকে সে বিয়ের কথা বললে সুমন শুধু তাকে আশ্বাসই দিত। সম্প্রতি তাদের দুজনেরই পরিবার থেকে অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করে। এ বিষয় নিয়ে গতকাল রাতে তারা দেখা করে। সেখানে স্থানীয়রা তাদের দেখে ফেললে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায় সুমন। এরপর রাতেই সুমনের বাড়িতে এসে অনশনে বসে হামিদা।
তিনি আরো বলে, সুমন যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে ওর বিরুদ্ধে আমি ধর্ষণ মামলা করবো। এমনকি আমি আত্মহত্যাও করতে পারি।
স্কুলছাত্রীর বাবা-মা বলেন, আমার মেয়ের সাথে সুমনের তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক। বিষয়টি আমরা প্রথম থেকে না জানলেও পরে জানতে পেরেছি। সুমন তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়েছিল। আমরা চাই সুমন আমাদের মেয়েকে বিয়ে করুক। নাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা করবো।
এদিকে, অভিযুক্ত সুমন ও তার পরিবারের কেউ বাড়িতে না থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। সুমনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।