আমাদের বার্তা, রাবি: প্রকল্প পাওয়ার পর গবেষণার বিল উত্তোলনে জটিলতায় গবেষণা প্রকল্প নেয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকরা। এককালে কেউ কেউ গবেষণায় বাজেটে ঘাটতির উপর দায় চাপালেও এখন গবেষণায় ব্যয় না হওয়ায় প্রতিবছরই বরাদ্দকৃত অর্থের একটি বড় অংশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে ফেরত যাচ্ছে।
জানা যায়, এ বছর ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে শুধু ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা বরাদ্দের তুলনায় বেশি অর্থ ব্যয় করেছিলো। এছাড়া বাকি চার অর্থবছরেই ৪০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ অব্যয়িত ছিলো। ২০২০-২১ অর্থবছরে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিলো ৫ কোটি টাকা এবং প্রকৃত ব্যয় ছিলো ২ কোটি ৭২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। ব্যয় করতে পারেনি ৪৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিলো ৮ কোটি টাকা এবং প্রকৃত ব্যয় ছিলো ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। ব্যয় হয়নি ৪১ দশমিক ৯০ শতাংশ অর্থ।
শিক্ষকদের অভিযোগ, গবেষণার বিল উত্তোলনে বিভিন্ন জটিলতা, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার সরঞ্জাম সরবরাহের প্রশাসনের ব্যর্থতা থাকায় প্রকল্প হাতে নিতে অনাগ্রহের অন্যতম কারণ। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ শিক্ষক গবেষণা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। শিক্ষকদের দাবি- গবেষণার বিল উত্তোলনের কাজগুলো সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা সেল বা অফিস থাকা দরকার। গবেষণা সেল চালু হওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা আলোর মুখ দেখেনি।
গবেষণা সেল তৈরি ও প্রকল্পের বিল উত্তোলনের সমস্যা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, সমস্যাগুলো সমাধানে প্রয়োজনে ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে আমরা পরামর্শ করে নেবো। যতোটুকু সম্ভব সহজীকরণের চেষ্টা করবো। শিক্ষকের কাজ দুটি, শিক্ষাদান এবং গবেষণা। গবেষণার বিকল্প নেই কিন্তু প্রতিনিয়তই শিক্ষকদের গবেষণায় আগ্রহ কমছে, এটি আশঙ্কাজনক। গবেষণার পাশাপাশি দক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনার সামর্থ্য থাকতে হবে। কখনো হাল ছাড়া যাবে না।