দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা সরকারি দুটি বিলাসবহুল গাড়ি ফেরত দিয়েছেন। একই সঙ্গে গাড়ি দুটি বিক্রি করে এসব অর্থ দেশের গণপরিবহনে ব্যয় করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ও পাঞ্জাবের মুখ্য সচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার। চিঠিতে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দেশের প্রধান বিচারপতির জন্য ৬ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি নতুন মার্সিডিজ গাড়ি কেনে সুপ্রিম কোর্ট। এ ছাড়া প্রধান বিচারপতির ব্যবহারের জন্য বুলেট-প্রুফ টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি দেয় পাঞ্জাব সরকার।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ মার্সিডিজ বা টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার ব্যবহার করেননি। সাংবিধানিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহারের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করতে সরকারি অর্থ ব্যয় করা ঠিক হবে না। এ জন্য এই দুই গাড়ি সংগ্রহ করে নিলামে তোলা যেতে পারে এবং বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ গণপরিবহন খাতে ব্যয় করা যেতে পারে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের ২৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা। তিনি আগের প্রধান বিচারপতি উমর আত্তা বান্দিয়ালের স্থলাভিষিক্ত হন।
১৯৮০-এর দশকে বেলুচিস্তান থেকে সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন বিচারপতি কাজী ফয়েজ। এরপর দীর্ঘ ২৭ বছর হাইকোর্ট, ফেডারেল শরিয়ত আদালত ও সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি।
পরবর্তীতে তিনি বেলুচিস্তান হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, সিন্ধু হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় বেলুচিস্তানের প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবেও কাজ করেন কাজী ফয়েজ। এরপর ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।