“ডিমে পুষ্টি ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগ মুক্তি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবসটি উপলক্ষে ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের আয়োজনে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের নেতৃত্বে বর্ণিল র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভেটেরিনারি অনুষদ চত্বরে শেষ হয়।
এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে অডিটারিয়াম-২ একটি আলাচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সলর প্রফসর ড. মো. এনামউল্যা, বিশেষ অতিথি ছিলেন নবনিযুক্ত প্রো ভাইস-চ্যান্সলর প্রফসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমল সায়ন্স অনুষদর ডিন প্রফসর ড. উম্ম সালমা। প্রধান আলাচক ছিলেন ডইরি অ্যান্ড পাল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. তাহেরা ইয়াসমিন।
আলাচনা সভায় নবনিযুক্ত প্রো ভাইস-চ্যান্সলর প্রফসর ড. মা. শফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, প্রো ভাইস-চ্যান্সলরের দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই আমার প্রথম কোনো প্রোগ্রাম অংশগ্রহণ। তাই এই অনুষ্ঠান আয়াজনের সাথে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানাই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ক এগিয়ে নিত সবার সহযাগিতা কামনা করছি। তিনি বলন, পুষ্টিগুণ বিবচনায় দশর জনগণ সকলই যন ডিমক খাদ্য হিসব গ্রহণ করত পার সজন্য আপনাদর কাজ কর যত হব।
প্রধান অতিথির বক্তব্য ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন, পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য ডিমের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এই পুষ্টিকর খাদ্যটি যেন মানুষ স্বল্প মূল্যে ক্রয় করতে পারে সে লক্ষ্যে উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে হবে। অর্থাৎ আশি ভাগ সাধারণ জনগণকে সামনে রেখে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে, তাহলেই ডিম দিবসের তাৎপর্য সাফল্যমণ্ডিত হবে। ডিমকে যদি সমাজের একটি শ্রেণীর খাদ্য হিসেবে চিন্তা করা হয় তাহলে সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি হবে। তাই সাধারণ জনগণের জন্য সহজলভ্য হিসেবে এর উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য ভিসি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে গবেষণায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।