রাজধানীর প্রগতি সরণিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ভিক্টর পরিবহনের চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড্ডার আনন্দনগর সার্জেন্ট টাওয়ার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভাটারা থানা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বাসচালক মো. লিটন (৩৮) ভোলা জেলার ইলিশা ইউনিয়নের কালু মিয়ার ছেলে ও হেলপার আবুল খায়ের (২২) একই জেলার বিদুরিয়া এলাকার হাসেম গারামির ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ জানান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিয়া ও তার বন্ধুকে চাপা দেওয়া ভিক্টর পরিবহনের চালক ও তার সহকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে, রোববার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর প্রগতি স্মরণি এলাকায় বাসচাপায় নাদিয়া সুলতানা (২১) নামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঘাতক বাসটিকে ওই সময় আটক করা গেলেও পালিয়ে যায় চালক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে একই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বন্ধুর বাইকে চড়ে গন্তব্যে যাওয়ার পথে পেছন থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয় ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস। বাইকের পেছনে থাকা নাদিয়া ছিটকে পড়লে বাসের চাকা চলে যায় মাথার ওপর দিয়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাদিয়ার।
পরিবারের প্রথম সন্তান এবং তিন মেয়ের মধ্যেও বড় নাদিয়াকে হারিয়ে পাগলপ্রায় বাবা-মা। দাবি বিচারের আওতায় আনা হোক ঘাতককে।
নাদিয়ার মা বলেন, আমি ওকে সকালে ফোন দিয়েছে তখন আমাকে জানিয়েছে সকালে ক্লাস নেই। আমি তখন বললাম আজকে ইজতেমার মোনাজাত তুই কোথাও যাস না।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম আছাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, উত্তরার দিক থেকে আসা ভিক্টর বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মারা যান নাদিয়া। তবে রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে, নাকি বাস থেকে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা জানা যায়নি।