ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি চর্চা ও শেখার জায়গা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করে কোন একটি আদর্শে অন্ধ হওয়ার জায়গা না।
বৃহস্পতিবাার (৩ অক্টোবর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেয়া একটি পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক মামুন লিখেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি চর্চা ও শেখার জায়গা। কেউ চাইলে লেখাপড়া ও গবেষণার পাশাপাশি রাজনীতি চর্চা করতে পারে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করে কোন একটি মতবাদে বা আদর্শে অন্ধ হওয়ার জায়গা না। দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করলে কোন একটি নির্দিষ্ট আদর্শ বা মতবাদের মধ্যে আটকে যেতে হয়। এই বয়সে রাজনীতির পুরো মাঠ একজন ছাত্রের জন্য চারণ ভূমি। রাজনীতির পুরো মাঠ বিচরণ না করে কিভাবে সঠিকভাবে কোন একটিকে বেছে নেবে? ছাত্রাবস্থায় কোন একটি দলের হয়ে গেলে চিন্তার পুরো স্পেকট্রাম জানা বা শেখার বদলে একটি অংশ জানে বা শিখে। তাছাড়া দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করলে অপরের মতামতকে সম্মান করতে না শিখে বরং ঘৃণা করতে শিখে। সাথে বোনাস হিসাবে তোষামোদিতা শিখে।’
আরো পড়ুন: সাত কলেজকে নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় দাবি
তিনি লিখেছেন, ‘শিক্ষায় বরাদ্দ কমালে যেই ছাত্র রাজনীতি আনন্দমিছিল করতে শেখায় তাকে কি ছাত্র রাজনীতি বলে? যেই রাজনীতি ছাত্রদের দুঃখ দুর্দশার কথা না বলে কাউকে ক্ষমতায় যেতে বা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামাতে ক্যাডার হিসেবে কাজ করতে শেখায় তাকে কি ছাত্র রাজনীতি বলে?’
অধ্যাপক মামুন আরো লিখেছেন, ‘আমাদের দেশে আমাদের সমস্যা হলো ছাত্র রাজনীতি বলতে আমরা কি বুঝি সেখানেই আমাদের মূল গলদ। আপনি রাজনৈতিক ইস্যুতে রেগুলার মুক্ত আলোচনা করুন, ছাত্রদের নানা সমস্যা ও ইস্যুতে দাবি তুলুন, আন্দোলন করুন। নানা সামাজিক সমস্যাকে মোকাবেলার জন্য নানা সংগঠন করে তুলে এর মাধ্যমে নেতৃত্ব শিখুন। কিন্তু ছাত্রাবস্থায় দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করে জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে কাউকে ক্ষমতায় নেয়া বা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য ক্যাডার হয়ে কাজ করাকে ছাত্র রাজনীতি বলে না।’