দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। একইসঙ্গে অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রোববার ‘পে-রোল অ্যান্ড স্মার্ট অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম’ বিষয়ে দু’দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মার্ট অ্যাকাউন্টিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার অংশ হিসেবে ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগ এ প্রশিক্ষণ আয়োজন করে।
কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান ।
অনুষ্ঠানে প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উপকৃত হয় এমন প্রয়োজনীয় খাতে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে। অপ্রয়োজনীয় খাতে অর্থ বরাদ্দ না করতে তিনি ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। তিনি জনগণের অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দ্রুত অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ইউজিসিকে এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে এবং অটোমেশনে কমিশনকে নেতৃত্ব দিতে হবে। অন্যথায়, উচ্চশিক্ষা খাত পিছিয়ে পড়ার তিনি আশঙ্কা করেন।
তিনি আরো বলেন, দেশের অর্থনীতির অন্যতম সমস্যা ‘কালো টাকা’। ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে উঠলে কালো টাকার বিস্তাররোধ সম্ভব হবে।
অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, ইউজিসি স্মার্ট অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম শুরু করেছে। এর মাধ্যমে ফরওয়ার্ডিং, ভাউচার, চেক প্রদান দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদন করা যাচ্ছে। এতে অপ্রোজনীয় ব্যয় বন্ধ হচ্ছে, দূর্ভোগ লাঘব এবং সময় সাশ্রয় হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পে-রোল অ্যান্ড স্মার্ট অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম চালু রয়েছে। আগামীতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি চালু করা হবে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং নজরদারি সহজ হবে এবং অপ্রয়োজনীয় খাতের ব্যয় চিহ্নিত করা যাবে। তিনি মনে করেন, সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে আর্থিকখাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও গতিশীলতা বাড়বে এবং অডিট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে।
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, সফটওয়্যার ব্যবহারে বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ প্রেরণ সহজতর হলেও এর শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশিক্ষণে রিসোর্সপার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রেজাউল করিম হাওলাদার, উপপরিচালক আব্দুল আলীম, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, সফটওয়্যার সেলের সিইও মো. ওলিউল্লাহ ও সিটিও হাসনাইন শুকন। প্রশিক্ষণে ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের ১৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।