বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম এবার বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসকারীদের ‘সর্বোচ্চ শাস্তি’ দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাতে ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে তিনি বিসিএসে প্রশ্নফাঁসকারী এবং এর সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা দেয়া ও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘একটি বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পাস করা যে কতটা অক্লান্ত পরিশ্রম ও সৌভাগ্যের বিষয় তা শুধু তারাই জানে যারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় যারা প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং যারা সেই প্রশ্নগুলো কিনেছে তথ্য নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া ও শাস্তির আওতায় আনা হোক। কিন্তু বাকি ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী; যারা মেধা, পরিশ্রম এবং যোগ্যতা দ্বারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে; ওই কালপ্রিটদের জন্য তাদের সঙ্গে এত বড় অন্যায় করা কখনও যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না। এ দুর্নীতির দায় আপনাদেরই নিতে হবে। তাই পিএসসি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা এই প্রশ্নফাঁস ও প্রশ্ন ক্রয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনুন। কিন্তু অন্য ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে এক বছর নষ্ট করার কোনো অধিকার আপনাদের নেই।’
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরে গত ৯ মে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি হয়। আগামী ২৮ আগস্ট থেকে এ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরুর কথা রয়েছে। তবে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, একটি চক্র ৩৩তম থেকে ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে আসছে। এতে পিএসসির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত।