সরকারি কর্ম কমিশনের কাছে (পিএসসি) চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন— প্রিলিমিনারির কাট মার্কস প্রকাশ করবে কি না? এ বিষয়ে পিএসসি বক্তব্য তারা সবকিছু প্রকাশ করে না।এর পেছনে কিছু যুক্তিও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কাট মার্কস হচ্ছে এমন একটি নির্দিষ্ট নম্বর, যেটির ওপর ভিত্তি করে প্রার্থী পাস না ফেল, তা নির্ধারিত হয়। যদি নির্ধারিত হয় ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মধ্যে কাট মার্কস ১২০, তাহলে এই নম্বর যেসব প্রার্থী পাবেন, তাঁরা প্রিলিমিনারিতে পাস করবেন। এখন সরকারি বেশির ভাগ চাকরির পরীক্ষাতেই প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হয়। আর পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর কাট মার্কসের বিষয়টি সামনে আসে।
পিএসসির একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, কাট মার্কস নির্ধারণের সময় যেসব বিষয় বিবেচনায় আনা হয়, তা হলো একেকটি বিসিএসে কত পদে ক্যাডার ও নন–ক্যাডার নিয়োগ হবে, প্রার্থীরা প্রিলিমিনারিতে কত ভালো করেছেন, কত প্রার্থী প্রিলিমিনারিতে অংশ নিয়েছেন—এসব বিষয়ের ওপর। কোনো বিসিএসে অল্প সময়ে নিয়োগে সরকারের নির্দেশ থাকলে তা দ্রুত সময়ে শেষ করতে হয়। এমন বিসিএসেও কাট মার্কস আরেক বিসিএস থেকে ভিন্ন হতে পারে বলে জানায় পিএসসি সূত্র।
পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, কাট মার্কস সব সময় এক রকম থাকে না। এটি নির্ধারিত হয় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর। যখন যে বিসিএস হয়, সেই বিসিএসের নানা বিষয়ের ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় কাট মার্কস। পিএসসির সদস্যরা পারিপার্শ্বিক নানা বিষয় বিবেচনায় এনে কাট মার্কস নির্ধারণ করেন।
এই কাট মার্কস পিএসসি প্রকাশ করবে কি না, এমন প্রশ্নে সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘এই মার্কস আমরা প্রকাশ করতে চাই না। এটি প্রকাশ করলে নানা জটিলতা হতে পারে ভেবেই এই মার্কস প্রকাশ করা হয় না।’
৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর বিসিএসের প্রিলিমিনারির কাট মার্কসের বিষয়টি সামনে এসেছে। কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘পিএসসির উচিত কাট মার্কস নির্দিষ্ট রাখা। একেক সময় একেক কাট মার্কস নির্ধারণ করলে আমরা বিভ্রান্তিতে পড়ি।
দেখা যায়, কোনো বিসিএসে কেউ ১২০ পেয়েও পাস করে না, আবার কেউ কোনো বিসিএসে ১১৫ পেয়েও পাস করে। এটি যাতে না হয় তাই পিএসসির উচিত প্রতি বিসিএসের আগেই কাট মার্কস কত হবে, তা জানিয়ে দেওয়া বা প্রকাশ করা।’