স্বাধীনতা যুদ্ধে অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগের জন্য বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিপ্রাপ্ত নূর মোহাম্মদ শেখের মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৫ সেপ্টেম্বর যশোরের গোয়ালহাটি ও ছুটিপুরে পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শাহাদাতবরণ করেন রণাঙ্গনের লড়াকু এ সৈনিক।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের মহিষখোলা গ্রামে জন্ম নেন। শৈশবেই বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেসাকে হারানোয় বেশি দিন পড়াশোনা করতে পারেননি। ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে যোগ দেন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর)। ল্যান্স নায়েক পদে উন্নীত হয়ে ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে আসেন যশোর সেক্টর সদর দপ্তরে।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মার্চে গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটাতে যান নূর মোহাম্মদ। সেই মাসেই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। জাতির ক্রান্তিলগ্নে সবকিছু ছেড়ে তিনি যোগ দেন মুক্তিবাহিনীতে। এরপর একাত্তরের ৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে অধিনায়ক করে একটি স্ট্যান্ডিং প্যাট্রল পাঠানো হয় যশোরের গোয়ালহাটি গ্রামে। উপস্থিতি টের পেয়ে পাকিস্তানের সেনারা তাঁদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। শুরু হয় গুলিবর্ষণ। সহযোদ্ধাদের বাঁচাতে জীবনবাজি রেখে পাল্টা আক্রমণ করেন নূর মোহাম্মদ।
একপর্যায়ে কামানের গোলার আঘাতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেন সহযোদ্ধারা। যশোরের কাশিপুর গ্রামে সমাহিত আছেন জাতির এই বীর যোদ্ধা।
শাহাদাতবার্ষিকীতে নড়াইলসহ বিভিন্ন স্থানে আজ নানা আয়োজনে জাতির এ বীর সেনানিকে স্মরণ করা হবে।