সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জুনিয়র প্রধান শিক্ষক হল সুপার ও সিনিয়র প্রধান শিক্ষককে সহকারী হল সুপারের দায়িত্ব দেয়াসহ একই শিক্ষককে হল সুপার, সহকারী হল সুপার, কক্ষ পরিদর্শক ও পরীক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকরা।
গত শুক্রবার সারাদেশের মতো কলারোয়া উপজেলার দুইটি কেন্দ্রে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায়
এছাড়া ওই দুই কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দেয়া হয় ধানদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিঠুন কুমার ভট্রাচার্য্য, বামনখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশরাফুজ্জামান, কাকডাঙ্গা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী মেহেদী হাসানকে। তাদেরই নিয়োগ দেয়া হয় পরীক্ষক হিসেবেও। এদিকে কলারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অনুপ কুমার ঘোষের মেয়ে বৃত্তি পরীক্ষার্থী হলেও তাকে পরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে শিক্ষকরা অভিযোগ তুলেছেন। পরীক্ষায় হল সুপার, কক্ষ পরিদর্শক, পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার মত উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩৭ জন শিক্ষক মাস্টার ট্রেইনার রয়েছে। তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এ নিয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন না করতে পারা শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এইচ এম রোকনুজ্জামান বলেন, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের মাধ্যমে শিক্ষকদের নাম জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়। সেখান থেকে যেসব শিক্ষকদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে, তাদেরকেই পরীক্ষকসহ পরীক্ষার অন্যান্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমি শিক্ষকদের দায়িত্ব বণ্টনের বিষয়ে জানি না।
জেলা শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, পরীক্ষায় দায়িত্ব বণ্টনের বিষয়ে আমি জানি না। তবে আমি পরীক্ষা পরিচালনা বিষয়ে জানি। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দায়িত্ব বণ্টনের বিষয়ে অনিয়ম হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।