২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ ও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন মাদরাসা থেকে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এ দুই বছরে ইবতেদায়ি সমাপনী, জেডিসি, দাখিল, আলিম ও ফাযিল পরীক্ষার ফলের বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে এন্ট্রি ও সংশোধন করা যাবে ৮ জুন পর্যন্ত। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, কিছু কিছু মাদরাসা থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি না করায় ও ভুল তথ্য দেয়ায় অনেক শিক্ষার্থীর বৃত্তির টাকা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়নি। কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের তথ্যই এন্ট্রি করেনি। অনেক শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য ভুল থাকায় টাকা ‘বাউন্সড ব্যাক’ হচ্ছে। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্যও পাওয়া যায়নি। বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য টাকা দ্রুত দিতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ও ২০২০-২১ অর্থবছরে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি ও ভুল সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
অধিদপ্তর থেকে জারি করা আদেশে দেশের সব মাদরাসার অধ্যক্ষ ও সুপারকে এমআইএস সফটওয়্যারে ৮ জুনের মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ইবতেদায়ি সমাপনী, জেডিসি, দাখিল, আলিম ও ফাযিলে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য এন্ট্রি ও ভুল সংশোধন করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে রাজস্বখাতভুক্ত সব ধরনের বৃত্তির টাকা জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা পাঠানো হচ্ছে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
যেভাবে তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধন :
অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, রাজস্ব খাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ইবতেদায়ি সমাপনী, জেডিসি, দাখিল, আলিম ও ফাযিলে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমআইএস সফটওয়্যারে (http://103.48.16.5/DME-MIS/login) লগইন করে ৮ জুনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি করতে হবে।
যেসব শিক্ষার্থী ২০১৯-২০ অর্থবছরে তাদের ব্যাংক হিসেবে বৃত্তির টাকা পেয়েছে এবং পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের তথ্য নতুন করে এন্ট্রি করতে হবে না। তবে, তিনটি সরকারি আলিয়া মাদরাসায় ফাযিল ও কামিল শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের উত্তীর্ণ দাখিল ও আলিমে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এমআইএস সফটওয়্যারে নতুন তথ্য এন্ট্রি ও ভুল তথ্য সংশোধন করতে হবে। আর টাকা বাউন্স ব্যাংক হওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে অবশ্যই সংশোধন করতে হবে।
তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনে অধিদপ্তরের নির্দেশনা :
সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে অধ্যয়নরত আছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে তথ্য এন্ট্রি করতে হবে। পাঠবিরতি রয়েছে এমন শিক্ষার্থীর তথ্য দেয়া যাবে না। দেশের অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন তফসীলভুক্ত ব্যাংকে শিক্ষার্থীর নিজ নামে বা ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে একক বা বাবা-মায়ের সাথে যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব বা স্কুল ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। অনলাইন ব্যাংক হিসেব নম্বর অবশ্যই ১৩-১৭ ডিজিটের মধ্য হতে হবে এবং সঠিক ও নির্ভুলভাবে তা পূরণ করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এমআইএসে এন্ট্রির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবের নাম ও শিক্ষার্থীর নাম অভিন্ন হতে হবে। শিক্ষার্থীর পরীক্ষার আইডি-রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম ও বছর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। বৃত্তির ক্যাটাগরি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। তথ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে ভুল বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।