রাজস্ব খাতে বৃত্তির টাকা পেতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে এইচএসপি-এমআইএস অনলাইন সফটওয়্যারে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সব সরকারি বেসরকারি মাদাসাগুলোর প্রধানদের। দেশের সব সরকারি বেসরকারি মাদরাসার প্রধানকে শিক্ষার্থীদের এন্ট্রি ও তথ্য সংশোধনের নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কিছু কিছু মাদরাসা বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য বিএসিএস অ্যান্ড আইবাস প্লাস প্লাস স্কিমের পরিচালিত এমআইএসে এন্ট্রি করেনি। কিছু শিক্ষার্থীর এন্ট্রি করা তথ্যে শিক্ষার্থীর নাম, বাবা-মায়ের নাম, পরীক্ষার নাম ও বছর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বৃত্তির ধরণ, হিসাবের নাম, ব্যাংক হিসাব নম্বর, ব্যাংক ও শাখার নাম, রাউটিং নম্বর ভুল থাকায় বিভিন্ন অর্থ বছরে কিছু শিক্ষার্থীর বৃত্তি টাকা তাদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো সম্ভব হয়নি। তাই ২৫ জানুয়ারির মধ্যে এমআইএস অনলাইন সফটওয়্যারের লিংকে (http://103.48.16.5/DME-MIS/login) প্রবেশ করে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধন করতে বলা হয়েছে মাদরাসা সংশ্লিষ্টদের।
তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনে মাদরাসা প্রধানদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর। নির্দেশনায় বলা হয়েছিলো, বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে অধ্যয়নরত রয়েছে নিশ্চিত হয়ে তথ্য এন্টি করতে হবে। অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন তফসিলভুক্ত ব্যাংকে শিক্ষার্থীর নিজ নামে বা ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের বাবা-মার সঙ্গে যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব বা স্কুল ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। যৌথ নামে ব্যাংক হিসেব খোলা হলে এমআইএসে তথ্য এন্ট্রির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নামের স্থলে উভয়ের নাম এন্ট্রি করতে হবে। শিক্ষার্থীর নাম ও অনলাইন ব্যাংক হিসাবের নাম অভিন্ন হতে হবে। অনলাইন ব্যাংক হিসেব নম্বর অবশ্যই ১৩ থেকে ১৭ ডিজিটের মধ্যে হতে হবে এবং সঠিক ও নির্ভুলভাবে তা পূরণ করতে হবে। মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের নম্বর এন্ট্রি করা যাবে না। শিক্ষার্থীর পরীক্ষার আইডি বা রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম ও বছর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
বৃত্তির ক্যাটাগরি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, রাউটিং নম্বর ও শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। তথ্য প্রেরণের ক্ষেত্রে ভুল বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।